নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মোঃ নুরুল হুদা ভূঁইয়া বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম ও নানা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতাপেই পরিচালিত হয় বিসিএসআইআর। প্রতিষ্ঠানের প্রধান থেকে শুরু করে নিম্নস্তরের কর্মচারীরাও ভয় পায় তাকে। সম্প্রতি সরকারি অডিটে বেরিয়ে আসে নুরুল হুদার নানা রকমের আর্থিক অনিয়মের কেলেঙ্কারি। কিছুদিন আগেই দুদক ইনভেস্টিগেশন টীম পরিচালিত অনুসন্ধানে হাতেনাতে ধরা পড়ে নুরুল হুদা কানন ভুইয়ার দুর্নীতি।
অভিযোগ রয়েছে, ওই কর্মকর্তা চাকরিতে যোগদান, বিদেশ ভ্রমণ এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণের ক্ষেত্রে অনিয়ম করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কোটা সম্পর্কিত নথিপত্রে অসঙ্গতির অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, বিসিএসআইআর এর দরপত্র জমা দেওয়ার আগেই নির্দিষ্ট চারটি প্রতিষ্ঠানকে গোপনে কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়, আর তার বিনিময়ে হাতবদল হয় মোটা অঙ্কের ঘুষের টাকা। চলতি বছরের গত ২৩ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদারের বিষয়ে মূল্যায়ন কমিটির চূড়ান্ত সভা হয়। অথচ উক্ত মূল্যায়ন কমিটির গোপন বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবে তার এক মাস আগেই হয়েছিল। রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ‘অ্যামব্রোসিয়া রেস্তোরাঁয়’ গত ২৩ এপ্রিল আয়োজিত এক ‘ইফতার বৈঠকে সিদ্ধান্তের কথা বলা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ধানমন্ডির সেই গোপন বৈঠকে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অগ্রিম ঘুষ হিসেবে ৬০ লাখ টাকা নেওয়া হয়। আর পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও সম্পূর্ণ করতে চুক্তি করা হয়েছি, প্রায় ১ কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারার পরিকল্পনা করা হয়।
সূত্রটি আরো জানায়, গোপন সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টেন্ডার কমিটির সদস্য সচিব ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মো. নুরুল হুদা ভূঁইয়া, ঢাকা গবেষণাগারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো. হোসেন সোহরাব, ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার অ্যানালিটিক্যাল রিসার্চ (ইনারস)-এর পরিচালক ড. মো. সেলিম খান, সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার সত্যজিৎ রায় রনি, উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. বেনজির আহমেদ এবং কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে আরো জানা গেছে, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) টেন্ডার ডাকা হয় ৮টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। কিন্তু যন্ত্রপাতির স্পেসিফিকেশন এমনভাবে বানানো হয়েছিল যে, যাতে চারটি নির্ধারিত কোম্পানি ছাড়া আর কেউ টেকনিক্যাল যোগ্যতা অর্জন করতে না পারে। এটিই টেন্ডার কারচুপির পরিচিত কৌশল ‘সুবিধাভোগী বান্ধব শর্ত সংযোজন’, যেখানে দরপত্রের শর্তপত্র এমনভাবে লেখা হয়, যেন নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কেউ অংশ নিতে না পারে।
শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট ব্যক্তিরা দীর্ঘ দিন ধরে নিয়োগ বাণিজ্য, ঠিকাদারীসহ বিভিন্ন সেক্টরকে জিম্মি করে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটিপতি বনে গেছেন। সেই চক্রটি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাদের বিষয়ে গোয়েন্দারা অনুসন্ধান চালাচ্ছেন বলেও বিসিএসআইআর এর একটি সূত্র জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিএসআইআর গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মোঃ নুরুল হুদা ভূঁইয়া জানান, সব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমার অনেক ভাই ব্রাদার সাংবাদিকতা করেন। আপনি আসেন একদিন অন্য একটা বিষয়ে আলাপ করবো আপনাকে অনেক নিউজ দিব।


















