জাহিদ হাসান, নেত্রকোনা থেকে :
এমপিও ভুক্তির আবেদনে ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাক্ষর সীল প্যাড জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে সদ্য যোগদানকৃত এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটিয়েছে নেত্রকোনায় দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ’র সদ্য যোগদানকৃত উৎপাদন ব্যবস্থাপন ও বিপণন বিষয়ক প্রভাষক মাহফুজুর রহমান।
কলেজ ও ব্যাংক সূত্রে জানাযায় দুর্গাপুর উপজেলার মহিলা ডিগ্রী কলেজ এর উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন বিষয়ের মোনাহাম বেগম নামের এক প্রভাষক বিগত ৭ জুলাই ২০২২ ইং তারিখ মৃত্যুবরণ করায় শুন্যপদে মাহফুজুর রহমান নামের একজন বিগত ১১সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। নিয়ম অনুসারে যোগদান এবং পাঠদান চলাকালে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার(এমপিও)পাবার জন্যে পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল(মাউশি) বরাবর ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ আবেদন করেন প্রভাষক মাহফুজুর রহমান । আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সঙ্গে অগ্রনী ব্যাংক দুর্গাপুর শাখার প্যাড,সীল ব্যবস্থাপকের স্বাক্ষর অবৈধভাবে ব্যবহার করে নন ড্রয়াল সনদপত্রটি জাল জালিয়তির মাধ্যমে নিজেই সৃজন করে মাউশি’তে দাখিল করেছেন। বিষয়টি ব্যাংক ব্যবস্থাপক জানতে পেরে বিগত ৫অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখ লিখিতভাবে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ’কে অভিহীত করেন।

এই চিঠি পরিপেক্ষিতে গত ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার ১২৯৮(২) স্মারকে ওই প্রভাষক’কে দশ কার্য দিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের জন্য কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়।
পাশাপাশি বিগত ৭ অক্টোবর ২০২৫ ইং তরিখ ১২৯৯(২)স্মারকে পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল(মাউশি)বরাবর আবেদন করা মাহফুজুর রহমান নামের জমাকৃত ফাইলটি রিজেক্ট করার জন্যে।
এদিকে অগ্রনী ব্যাংক দুর্গাপুর শাখার ম্যানেজার মোঃ কাজল মিয়া জানান আমি ঘটনার বিষয় জানতে পেরে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতিকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি,বাকিটা তাদের কাজ।

এ বিষয়ে কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি এম এ জিন্নাহ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ের সত্যতা শিকার করে বলেন এটি একটি গর্হিত কাজ করেছেন ঐ শিক্ষক,শুরুতেই যে শিক্ষক দুর্নিতির আশ্রয় নিয়েছেন তার কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কি আশা করতে পারে ? এটির একটি দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
কলেজ অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদক’কে বলেন উল্লেখিত ঘটনা পুরোটাই সত্য, আমি কলেজের পক্ষথেকে ঐ শিক্ষকে কারণদশানো নোটিশ করেছি,তাছাড়া পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল(মাউশি)বরাবর আবেদন করেছি ঐ জালিয়াতি করা ফাইটি রিজেক্ট করার জন্যে।
অপরাধচিত্র থেকে অভিযুক্ত প্রভাষক মাহফুজুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ের সত্যতা শিকার করেন পাশাপাশি নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

















