নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকার সাভারের রানা প্লাজা ধসের ভয়াবহ ঘটনার এক যুগ পার হয়ে গেলেও এখনো দগদগে ক্ষত হয়ে আছে সেদিনের স্মৃতি। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল আট তলা ভবনটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় এক হাজার ১৩৮ জনের বেশি শ্রমিক প্রাণ হারান, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক।
এক যুগেও শেষ হয়নি এ ঘটনায় হত্যা মামলার বিচার। জানা গেছে, রানা প্লাজা ধসে হতাহতের ঘটনায় মোট মামলা হয়েছিল ২০টি। এর মধ্যে তিনটি ফৌজদারি মামলা। হত্যা মামলাটি বর্তমানে ঢাকার জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন। অন্য দুটি মামলা ঢাকার আদালতে বিচারাধীন।
দিবসটি উপলক্ষে রানা প্লাজার সামনে নানা কর্মসূচি পালন করবে বিভিন্ন সংগঠন এবং হতাহত শ্রমিকদের স্বজনেরা। বিশ্বের ভয়াবহতম শিল্প দুর্যোগের একটি হিসেবে এরই মধ্যে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে রানা প্লাজা ধসের ঘটনা।
ভেঙে পড়ার আগের দিনই ভবনটিতে ফাটল দেখা দেয়। সেটি অগ্রাহ্য করে পরের দিন ভবনটির ৫টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের কাজে ফিরতে বাধ্য করা হয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রানা প্লাজা ধসের আগে পোশাক খাতে শ্রমিক ছিল ৬০ লাখের বেশি। দুর্ঘটনার পর কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ লাখে। এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। যা রপ্তানিমুখী পোশাক খাতকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।