রবিবার , ২৭ জুলাই ২০২৫ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে ২২ সদস্যের কমিশন গঠন

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ২৭, ২০২৫ ৯:২৩ অপরাহ্ণ

বিশেষ প্রতিবেদক :

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য পে কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদে এ সিদ্ধান্ত হয়। সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে এই কমিশনের প্রধান করা হয়েছে।

কমিশন আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে। এই কমিশনে ২২ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারাই নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করবেন।

রবিবার (২৭ জুলাই) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে- সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ১৫-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতনস্কেলের আওতাভুক্ত প্রজাতন্ত্রের সফল শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য জাতীয় বেতন কমিশন গঠনার্থে সরকার কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে নিম্নরূপভাবে জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ গঠন করা হলো।

সভাপতি (পূর্ণকালীন): সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান। সদস্য (পূর্ণকালীন) হলেন-সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আলী খান, সাবেক মহানিয়ন্ত্রক মো. মোসলেম উদ্দীন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. ফজলুল করিম। সদস্য (খণ্ডকালীন): সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক আহমেদ আতাউল হাকিম, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জাহিদ হোসাইন, সাবেক সচিব ড. জিশান আরা আরাফুন্নেসা, মেজর জেনারেল (অব.) এ আই এম মোস্তফা রেজা নূর, সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান, তহমিনা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাকছুদুর রহমান সরকার, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, এনিমেল ব্রিডিং অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগ ড. মোহাম্মদ সামছুল আলম ভূঁঞা, বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. এ.কে.এম. মাসুদ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এ. কে. এনামুল হক, সশস্ত্র বাহিনীর একজন প্রতিনিধি (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত), আইন ও বিচার বিভাগের একজন প্রতিনিধি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, জননিরাপত্তা বিভাগের একজন প্রতিনিধি, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট, অতিরিক্ত সচিব (প্রবিধি, বাস্তবায়ন, আইন ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান, অতিরিক্ত সচিব (বাস্তবায়ন) অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, সরকারের সচিব/অতিরিক্ত সচিব।

এই কমিশনের কার্যপরিধি:
সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান, সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিদ্যমান বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে কমিশন কি কি বিষয়ে সুপারিশ করবে তা প্রজ্ঞাপনে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
১। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতন কাঠামো নির্ধারণ।
২। বিশেষায়িত চাকরিধারীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ।
৩। বেতন-ভাতার ওপর আরোপযোগ্য কর (আয়কর) জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক সরাসরি পরিশোধ করার ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো স্থিরীকরণ।
৪। বেতন-বহির্ভূত অন্যান্য সুবিধা, যেমন-বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, আপ্যায়ন, প্রেষণ, কার্যভার, মহার্ঘ, উৎসব এবং প্রান্তিবিনোদন ইত্যাদি ভাতা নিরূপণ।
৫। মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি নিরূপণ।
৬। যথোপযুক্ত বা সময়োপযোগী পেনশনসহ অবসর সুবিধাদি নির্ধারণ।
৭। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মান নিরূপণ, মূল্যায়নপূর্বক বেতন-ভাতা কাঠামোয় প্রতিফলন।
৮।সরাসরি সেবা (টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি) সংক্রান্ত প্রাধিকারগুলো আর্থিক সুবিধায় নগদায়ন এবং রেশন সুবিধা যৌক্তিকীকরণ।
৯। উচ্চতর গ্রেড ও ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্তিতে বেতনক্রম নিরীক্ষাক্রমে কোনো অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে তা দূরীকরণের সুপারিশ প্রণয়ন।

সুপারিশ প্রণয়নে কমিশন যেসব বিষয় বিবেচনা করবেন:
১। পিতা-মাতাসহ অনূর্ধ্ব ছয় জনের একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয়।
২। অনূর্ধ্ব দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়।
৩। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সরকারের সম্পদ পরিস্থিতি, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য সম্পদের প্রয়োজনীয়তা।
৪। সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের অবস্থা।
৫। দারিদ্র্য নিরসনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সম্পদ যোগান ও ক্রমান্বয়ে স্বনির্ভরতা অর্জনের উপায়।
৬। জনপ্রশাসনে মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ।
৭। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও কর্মোদ্যোগ বৃদ্ধি করে সেবার মান উন্নয়ন।

সর্বশেষ - রাজনীতি