জাহিদ হাসান নেত্রকোণা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনায় ঘরে ঢুকে এক ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে জবাই করে হত্যা করে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। ২০ ডিসেম্বর দিবাগত গভীর রাতে দুবৃত্তরা স্ত্রীর ওড়না দিয়ে হাত- পা বেঁধে এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই আটক করতে পারেনি। নিহত ব্যক্তির নাম হেলাল উদ্দীন (৬৫)। তিনি সদর উপজেলার কালিয়ারা ঘাবরাগাতি ইউনিয়নের নাড়িয়াপাড়া গ্রামের মৃত আশরাফ আলী তালুকদারের ছেলে। তিনি একজন সাধারণ কৃষক। তার একটি ষাঁড় গরু আছে ষাড়টি গোয়াল ঘরে রেখে চোরের ভয়ে তিনি বসত ঘরের পাশে গোয়াল ঘরেই থাকতেন। প্রতিদিন হেলাল গোয়াল ঘরে থাকলেও তার স্ত্রী বেদেনা (৫৫) পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছ দেয়া বক্তব্য মতে ঘটনার দিন দিবাগত রাতে গোয়াল ঘরে না থেকে গোয়াল ঘর থেকে কোন সময় এসে স্ত্রী ও তার ২ বছরেে শিশু কন্যার সাথে একই ঘরে রাত্রি যাপন করছিলেন হেলাল এর স্ত্রী আদৌ কিছু বলতে পারেনি। প্রতিবেশী ও পুলিশ কাছে স্ত্রীর বেদেনা আরো জানায় তার বিছানার পাশে একই ঘরে দুবৃত্তদের কর্তৃক স্বামীকে জবাই করে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে তাও স্ত্রী আদৌ অবগত হতে পারেনি।
শেয রাতের দিকে এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি স্ত্রী বেদেনা প্রতিবেশী লোক জনকে জানানোর সময় তার কোন কান্নাকাটি করা দুরের কথা অনুসুচনাও ছিলো সহধর্মিণী স্ত্রীর । ফলশ্রুতিতে স্থানীয়রা বলছে স্ত্রী এই হত্যাকান্ডের কিছুটা হলেও দায় এড়িয়ে যেতে পারে না।
অপরদিকে স্থানীয় সূত্রে মতে জানা গেছে নিহত হেলালের সদ্য পাশ করা হাফেজ শরীফ উদ্দীন ( ১৯) নামের একটি ছেলে সন্তানও আছে। সে ঘটনার দিন সন্ধায় বাড়িতে ছিলো। কি কারনে তার মা তাকে পাশ্ববর্তী দুধকোড়া গ্রামে তার মামার বাড়ি চলে যেতে বলায় সে চলে যায় এনিয়ে ভাবার প্রয়োজন বলে মনে করে স্থানীয়রা।
এদিকে নেত্রকোনা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) -মো: আল মামুন সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনা তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত কাউকে সনাক্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

















