বৃহস্পতিবার , ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ভার্চুয়াল মার্কেটে প্রবেশে বাধা ব্যাংকিং ও কাস্টমস নিয়মনীতি : বিজিএমইএ

প্রতিবেদক
Newsdesk
জানুয়ারি ২৫, ২০২৪ ৭:০৯ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক :

কোভিড-১৯ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভার্চুয়াল মার্কেটে প্রবেশ করতে চেয়েছিল দেশের তৈরি পোশাক শিল্প। এ মার্কেট অনেক সম্ভাবনাময় হলেও বড় বাধা ব্যাংকিং ও কাস্টমস। এজন্য ব্যাংকিং ও কাস্টমস নিয়মনীতি সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিজিএমইএ কার্যালয়ে “ এস্টাবলিসিং এ ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস প্লাটফর্ম ফর দ্য অ্যাপারেল সেক্টর: বিজনেস ফিজিবিলিটি অ্যান্ড পলিসি ল্যান্ডস্কেপিং” শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনার সময়ে যখন আমাদের অর্ডার ক্যান্সেল হচ্ছিল, আর বাজারগুলোতে ভার্চুয়ালি খুচরা ব্যবসা বাড়ছিল, তখনই আমরা উদ্যোগী হয়েছিলাম ভার্চুয়াল মার্কেটে সম্পৃক্ত হতে। তবে আমাদের প্রাথমিক অবজারভেশন ছিল এরকম যে, প্রথাগত ব্যবস্থায় আমরা যে ব্যাংকিং ও কাস্টমস নিয়মনীতি অনুসরণ করে ব্যবসা করি, ভার্চুয়াল মার্কেটের ক্ষেত্রে সেটি সব ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অর্থাৎ বেশকিছু বিধিবিধান বিশেষকরে ব্যাংকিং ও কাস্টমস নিয়মনীতি সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। অপরদিকে ভার্চুয়াল মার্কেট যেহেতু একটি নতুন বিষয় তাই শিল্পের ভিতর আমাদের কিছু প্রস্তুতি ও অ্যাডজাস্টমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে চিহ্নিত করা ও যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। আর এই পুরো বিষয়টি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে যথাযথভাবে করার জন্য আমরা এই গবেষণা কাজটি হাতে নেই।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন বিক্রয়ের ১৮ শতাংশ ভার্চুয়ালি হয়েছিল, যা ২০২৫ সালের মধ্যে ২৩ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মূলত. সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে ক্রেতারা ভার্চুয়াল মার্কেটের প্রতি বেশি অনুপ্রাণিত হচ্ছেন, পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব কেনাকাটার বিকল্প হিসেবেও ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস সমাদৃত। বাংলাদেশের পোশাক গত চার দশক ধরে সফলভাবে কাজ করলেও, সমস্ত গ্লোবাল ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের জন্য উত্পাদন সত্ত্বেও এটি নিজস্ব ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে করে বিজিএমইএ সভাপিতি বলেন, আগামিতে আমরা এটি পরিবর্তন করতে চাই। আমরা নিজেদেরকে ওবিএম (অরিজিনাল অ্যান্ড ম্যানুফেকচারস) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হতে পারে আমাদের জন্য একটি কৌশলগত এন্ট্রি-পয়েন্ট।

তিনি বলেন, আমরা যদি আগামী দিনে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে চাই তাহলে আমাদের একটি সামগ্রিক ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করতে হবে এবং সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সেক্টরের জন্য নীতিগত সহায়তার প্রয়োজন হবে। আর এ কারণেই, আমরা এই বিশেষ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি, যার মাধ্যমে একটি কর্ম পরিকল্পনা প্রনয়ন করা যায় এবং শিল্পের ঘাটতিগুলি বিশ্লেষণ করা এবং উপযুক্ত ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করা সম্ভব হবে। আমি বিশ্বাস করি এই প্রতিবেদনটি একদিকে যেমন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের বিস্তার ঘটাবে, পাশাপাশি ব্যবসা প্রসারের ক্ষেত্রে আগামী দিনে আমাদের জন্য একটি গাইডলাইন হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ২০২৩ সালে আমাদের পোশাক রপ্তানি ৪৭ দশমিক ৩৮ বিলিয়নে পৌঁছেছে। অপ্রচলিত বাজারে আমাদের শেয়ার ১৮ শতাংশ অতিক্রম করেছে। বর্তমানে আমরা ১০০ ডলার এফওবি মূল্যের পোশাকও তৈরি করছি। আমরা আমাদের শিল্পকে রি-ডিফাইন করার প্রত্যয় নিয়েছি। দেশে গ্রীন সার্টিফাইড কারখানার সংখ্যা ২০৬টি। এর মধ্যে ৭৬টি প্ল্যাটিনাম রেটেড। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ২৩টি কারখানার মধ্যে ২১টি বাংলাদেশে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশে গ্রীন পোশাক কারখানার বিপ্লব সাধিত হয়েছে। বৈশ্বিক পোশাক বাণিজ্যে চীনের পরেই আমাদের অবস্থান, তবে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানের মধ্যে ব্যবধান অনেক। আমরা ২০২২ সালে আমাদের গ্লোবাল শেয়ার ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশে নিয়ে যেতে পেরেছি। আশা করছি, ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা এই শেয়ার ১২ শতাংশে নিয়ে যেতে পারব, তবে তার জন্য প্রয়োজন নতুন নতুন সুযোগ তৈরি ও তা কাজে লাগাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। যেহেতু ফ্যাশন জগতে ভার্চুয়াল রিটেইলিং এর অবস্থান দৃঢ় হচ্ছে, তাই এই বিষয়টিতে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা বিজিএমইর দায়িত্ব নেয়ার পর বেশি কিছু বিষয়ে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, যার মধ্যে ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস ছিল অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেসে যুক্ত রয়েছে আইএফসি লাইটক্যাসল।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনে বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পে ভার্চ্যুয়াল মার্কেটের বর্তমান আকার এবং এই বাজারে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পোশাকখাতের জন্য ভার্চ্যুয়াল মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠা করতে কি ধরনের কর্মপরিকল্পনা ও নীতি প্রনয়ণ করা প্রয়োজন এবং কিভাবে ভার্চ্যুয়াল মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠা করে টেকসই করা যেতে পারে, তারও সুপারিশ তারও আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক নাভিদুল হক ও পরিচালক মো. ইমরানুর রহমান, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রেস, পাবলিকেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি এর চেয়ারম্যান শোভন ইসলাম, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্রেড ফেয়ার এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ইউডি-ওভেন অ্যান্ড নিট এর চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম। আইএফসি-প্যাক্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার নিশাত শহীদ চৌধুরী, লাইটক্যাসল পার্টনারসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক জাহেদুল আমিন, সিনিয়র বিজনেস কনসালটেন্ট ও প্রজেক্ট ম্যানেজার দীপা সুলতানা, বিজনেস কনসালটেন্ট প্রিয় প্রান্ত, বিজনেস অ্যানালিস্ট নাজিবা আলী প্রমুখ।

সর্বশেষ - জাতীয়