নিজস্ব প্রতিবেদক :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনায় তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ রবিবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামের জড়িত থাকার বিষয়টির খণ্ডিত সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে সব অভিযোগ পূর্ণাঙ্গ এবং যেভাবে কথা আসছে সেভাবে মিলে গেছে এমনটা বলা যাবে না।’
‘তবে প্রাথমিকভাবে সত্যতা আছে বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এই সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতখানি সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমাদের যতটুকু কাজ ছিল সেটুকু আমরা করে দিয়েছি। এখন কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা পুলিশ তদন্ত করবে’, বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা নজরদারিতে ছিলেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে অবন্তিকার মা তসলিমা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দুজনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে মামলার পরই গতকাল শনিবার রাতে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এদিন দুপুরে শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে ১২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী অফলাইনে ও অনলাইনে অবন্তিকাকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অবন্তিকাকেই নানাভাবে অপমান করে আসছিলেন।