শুক্রবার , ৩০ আগস্ট ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয় এস আলম গ্রুপ: ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ৩০, ২০২৪ ৯:২৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে ইসলামী ব্যাংক দখলে নেয় মোহাম্মদ সাইফুল আলমের (এস আলম) মালিকানাধীন এস আলম গ্রুপ।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের আয়োজনে ব্যাংকিং খাতে দখলদারিত্ব উচ্ছেদ: দুর্দশা কাটবে কি? শীর্ষক ওয়েবিনারে এমন অভিরেযাগ করেন ব্যাংকটির সাবেক এমডি আবদুল মান্নান। ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মনির হায়দার।

২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ভোরে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কয়েকজন কর্মকর্তা ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন এমডি আবদুল মান্নানকে তার বাসা থেকে কচুক্ষেতে ডিজিএফআই কার্যালয়ে নিয়ে যান। একইভাবে নিজ-নিজ বাসা থেকে তুলে নেয়া হয় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে।

এরপর তাদের জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে সই করিয়ে ব্যাংকটি দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ এমন অভিযোগ করে ব্যাংকটির সাবেক এমডি আবদুল মান্নান বলেন, আমাকে যে কাগজে সই করানো হয়, সেটি ইসলামী ব্যাংকের একটি প্যাড। কিন্তু সে প্যাড ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক কখনই ব্যবহার করেনি। সে ধরনের একটি প্যাডে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি আমার পদত্যাগপত্র নেয়া হয়েছে।

ওইদিনই অনেক রাত পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের স্যাররা অফিস করেছেন। তারা ওই দিনই ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে কাজ করেছেন। এগুলো কীভাবে হতে পারে একটি দেশের ব্যাংক খাতে। যে ব্যাংক খাত একটি দেশের অর্থনীতির প্রাণ। পরের কয়েক বছর তাদের টেলিফোনে (এস আলম গ্রুপ) বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অনেক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে।

এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যতে এমনটা ঘটানোর কেউ সাহস না পায়। দীর্ঘ সাড়ে ৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশে থাকার সময় দেশ থেকে সাংবাদিকদের কেউ কেউ যোগাযোগ করলেও আমি কথা বলিনি। কারণ, আমি নিরাপদ বোধ করিনি। আতঙ্কের মধ্যে থেকেছি। আবার বাংলাদেশে এসে নিশ্বাস নিতে পারব বলে মনে করিনি।

আবদুল মান্নান বলেন, আমি এখন মনে করি, কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছি। তবে সে ভয় কাটতে বোধ হয় সময় লাগবে। মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে বোধ হয় আমার আরো সময় লাগবে।

এছাড়াও ওয়েবিনারে আরো অংশ নেয় ফিন্যান্সিয়াল এক্সিলেন্সের চেয়ারম্যান মামুন রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাডজ্যাংক্ট প্রফেসর মো. মিজানুর রহমান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

তাদের আলোচনায় বলেন, ব্যাংকিং খাতে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরেই নানা অনিয়মের কারণে দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মন্দ ঋণ ও অর্থ পাচারের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ব্যাংককে ব্যবহারের মাধ্যমে। উপরের নির্দেশ মান্য করতে গিয়েই ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা এসব অনিয়মকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে তারা লাভবানও হয়েছেন। এরফলে দেশের ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলো আমাদের সবারই জানা। তবে সেটি আরো গভীরভাবে, সুনির্দিষ্ট তথ্য যাচাই করে একটি সমাধান বের করতে হবে।

সর্বশেষ - জাতীয়