রবিবার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

বান্দরবানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কেএনএ’র ৩ সদস্য নিহত

প্রতিবেদক
Newsdesk
নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ

বান্দরবান প্রতিনিধি :

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মিরে (কেএনএ) ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। রবিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আইএসপিআর জানায়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার গহীন জঙ্গলে কেএনএ-এর গোপন আস্তানায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী।

এ সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। অভিযান এখানো চলমান রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, রুমা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে শুক্রমণি নতুন পাড়ায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়রা ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শুনলেও নিহত বা আহতদের বিষয়ে কোনো তথ্য পায়নি বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
শান্তি সংলাপ চলমান থাকা অবস্থায় এ বছরের ২ এপ্রিল রাতে রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট ও ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়। পরদিন ৩ এপ্রিল দুপুরে পার্শবর্তী থানচি ইপজেলা সদরে সোনালী ও কৃষি ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার সঙ্গে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট ও তাদের সামরিক শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্সী কেএনএ সদস্যরা জড়িত থাকায় শান্তি সংলাপ ভেঙে যায়।

এরপর থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে। এই অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। এর ফলে এই তিনটি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিলে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানে আত্মপ্রকাশ করে। জানা যায়, কেএনএফ-এর সামরিক শাখা কেএনএ-এর শতাধিক সদস্য তিন বছর আগে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে যায়।

২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ফিরে আসে। এই দলের সদস্যরাই এখন পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে।

 

 

সর্বশেষ - জেলার খবর