সোমবার , ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ছাত্রলীগের একাংশের, বন্ধ শাটল ট্রেন-বাস

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ছাত্রলীগের একাংশের, বন্ধ শাটল ট্রেন-বাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মূল ফটকে তালা লাগিয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ না পাওয়া একাংশ। সোমবার ভোর থেকেই অবরোধ শুরু করেন তারা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

অবরোধের ফলে ক্যাম্পাস থেকে বের হতে পারেনি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো বাস। এ ছাড়া সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার শাটল ট্রেন ষোলশহর স্টেশনে আটকে দেন পদবঞ্চিতরা। এতে শাটলে থাকা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

এ ছাড়া প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে ক্যাম্পাসে আসা নবীন শিক্ষার্থীরাও বিপাকে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা ও ক্লাসেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

অবরোধে অংশ নিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের ছয়টি উপগ্রুপ। এগুলো হলো— ভার্সিটি এক্সপ্রেস, বাংলার মুখ, রেড সিগন্যাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কা।

গত ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ৪ শতাধিক সদস্যের বিশাল কমিটি ঘোষণার পর থেকেই আন্দোলন করে আসছেন পদবঞ্চিত কর্মীরা। গত ১০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে তিন দফা দাবি পেশ করে উপগ্রুপগুলো। এগুলো হলো— পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা।

কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া।

এর আগে গণস্বাক্ষর, বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দাবিগুলো জানিয়ে আসছিলেন পদবঞ্চিতরা। দাবি না মানলে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করার ঘোষণাও দেন তারা।

শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাকিবুল হাসান দিনার বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো জানিয়ে আসছিলাম অনেক দিন ধরে। আমাদের কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য না করতে অনুরোধ করেছি। কোনো লাভ হয়নি। পদবঞ্চিতদের আন্দোলনে সমর্থন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের এ দায়ভার শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকেই নিতে হবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।

প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, তাদের দাবিটা যেহেতু সাংগঠনিক, তাই সংগঠনের নেতাদের কাছে দাবি জানানো উচিত। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজে বাধা দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। আশা করি তারা শিক্ষার্থী হিসেবে এটি বুঝবে। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।

 

সর্বশেষ - জাতীয়