নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, একইসঙ্গে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে, সে বিষয়টি এই সফরে প্রাধান্য পাবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে এলডিসি উত্তরণ: কৃষিখাতে প্রভাব শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ ও বাংলাদেশ অ্যাগ্রো কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বামা) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সভাপতি ছিলেন ইআরএফের সভাপতি দৌলত আকতার মালা। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে মূল নজর থাকবে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে সেই বিষয়টি।
রপ্তানি বহুমুখীকরণ না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, এই সরকার চাচ্ছে এখান থেকে বের হয়ে আসতে। পোশাকের বাইরে অন্য পণ্য রপ্তানির প্রসার ঘটাতে। প্রফেসর ইউনূস ইইউ এর কাছে বলেছে, তোমরা এখানে হালাল ফ্যাক্টরিগুলো করো। হালালের ম্যানুফেকচারিং হাব করো। তিনি চীন যাচ্ছেন, পুরো ফোকাসটি থাকবে চায়নিজ ইনভেস্টর, যারা গ্লোবালি ডমিনেট করছেন; তাদের বাংলাদেশে আনা।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেছেন, সরকার যেখানেই হাত দেয় সেখানেই সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট তন্ত্র থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যায় এটাই সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, সরকারকে গতিশীল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানান, কেবল সুশাসন নিশ্চিত করে, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিদিন নির্বাচন কবে হবে এ প্রশ্ন না করে, সবার উচিত সরকারি দপ্তরগুলো কেন নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছেনা সে প্রশ্ন করা।