নিজস্ব প্রতিবেদক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২৩টি আসনে জয় নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। তাদের ছাপিয়ে ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ফলাফল ঘোষণার পর স্বাভাবিকভাবেই তাই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে—দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দল হচ্ছেন কারা।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে।
জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পদ্ধতিটা আমি কেন আপনাকে বলব? নতুন সরকার বসুক। সংশ্লিষ্ট যারা আছে তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন। বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এরপর তিনি বলেন, নির্বাচনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির তো অনেকেই জিতেছেন, চৌদ্দ দলেরও দুজনের মতো জিতেছেন। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তো দূরে নয়। যিনি লিডার অব দ্য হাউজ হবেন, তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী, নতুন লিডার অব দ্য হাউজ—পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বিবেচনায় করণীয় নিয়ে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জনগণের প্রতিনিধি, তারা নির্বাচিত। তাই নির্বাচিত সদস্য হিসেবেই সংসদে বসবেন এবং নিজেদের ভূমিকা পালন করবেন তারা। এ ছাড়া অন্য কিছু এই মুহূর্তে ভাববার অবকাশ নেই।
তিনি আরও বলেন, ২৯৯ আসনের মধ্যে ২২৩টা আসন একা একটা রাজনৈতিক দল জিতেছে। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী কতজন? অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন, আওয়ামী লীগের চেয়ে স্বতন্ত্রই জিতবে বেশি। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগই। ২২৩ জন রুলিং পার্টি থেকে জেতা এটা তো একটা পজিটিভ বাস্তবতা।
বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের নিয়ে তিনি বলেন, এটা স্বীকৃতির জন্য নয়। আমাদের ইলেকশনটা কেমন হয়— আন্তর্জাতিক বিশ্ব জানতে চায়। আমরা বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। আমাদের এই কথার সঙ্গে কাজের মিল আছে কি না, গণতান্ত্রিক বিশ্ব সেটা প্রত্যক্ষ করুক— সেজন্য আমরা এটা করেছি।
নির্বাচন নিয়ে করা বিএনপির মন্তব্য নজরে আনলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশি-বিদেশি সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক সবাই নির্বাচন দেখেছেন, প্রত্যক্ষ করেছেন। আপনাদের নিজেদেরও বিবেক আছে, পরিস্থিতি বোঝার ক্ষমতা আছে। বিএনপি-জামায়াতের তীব্র বিরোধিতা ও নির্বাচনবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যেও কতটা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে; সেটা আপনারা নিজেরাই প্রত্যক্ষ করেছেন। যা সত্য তা সবকিছুই আপনারা জানেন। আর যা কিছু মিথ্যাচার, সব আপনারা দেখছেন। এখনও তারা মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন। জনগণের রায়কে অস্বীকার করে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা যেকোনো মূল্যে সব ধরনের সহিংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে, পরাজিত করতে বদ্ধ পরিকর।