জাহিদ হাসান, নেত্রকোনা থেকে :
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে নেত্রকোনায় কেন্দুয়া উপজেলায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারাণা ।
ভোটারদের মন জয় করে সমর্থন আদায়ে প্রার্থীরা দিন-রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বাসা-বাড়ি, হাটে-বাজারে রাস্তা -ঘাটে ভোট প্রার্থনা করছেন। করছেন উঠোন বৈঠক,সভা-সমাবেশ পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছেয়ে গেছে। হ্যান্ডবিলের ছড়াছড়ি। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান সহ ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। আগামী পাঁচ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাচন।
চেয়ারম্যান,ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১৩ জন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মাঠ চোষে বেড়াচ্ছেন। এদিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্যমতে, এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার ৩৩২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৬ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৩০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্র আছে ৯৬ টি।
নিজেদের সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি হাটে-বাজারে, রাস্তা ঘাটেও চলছে নির্বাচনি প্রচার প্রচারনা। শেষ মুহুর্তে বেড়েছে প্রার্থী আর কর্মী-সমর্থকদের তৎপরতা ।
যে কোনো মূল্যে ভোটারদের মন জয় করতে তারা ছুটছেন দ্বারে দ্বারে। কষছেন জয়ের হিসেব-নিকাশ। অন্যদিকে ভোটাররা হিসেব কষছেন মাঠে কার কি অবস্থা। কে পড়তে পারে শেষ বিজয়ের মালা। প্রার্থীরা তাদের নিজেদের নিয়ে হিসেব কষলেও ভোটাররা হিসেব কষছেন প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীকে নিয়ে। অতীত আর ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের অঙ্ক কষছেন সাধারণ ভোটাররা। তবে এখানে ভোটের লড়াই হবে দ্বিমুখী। চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে নেত্রকোনা কেন্দুয়া উপজেলার ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাঠ চোষে বেড়াচ্ছেন।
কেন্দুয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৫ জন। তারা হলেন উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের সাবেক তিনবারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মো. জাহাঙ্গীর চৌধুরী (কাপ পিরিচ), উপজেলার চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সালমা আক্তার (মোটরসাইকেল) এবং উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবীর চৌধুরী (দোয়াত কলম), উপজেলা পরিষদের সাবেক দুইবারের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া (ঘোড়া) এবং জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (আনারস)।
নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, মানবাধিকারকর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতা মামুনুল কবীর খান হলি (তালা), উপজেলা ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশিদ তালুকদার ফারুকী (টিউবওয়েল) ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ইয়াহিয়া খান (চশমা) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। তারা হলেন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম সুমি (ফুটবল), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা রোজি (হাঁস), উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সদস্য ফাতেমা আক্তার (পদ্মফুল), প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মিনা আক্তার (প্রজাপতি) এবং সুমি আক্তার
পোস্টারে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনা কেন্দুয়া উপজেলার অলিগলি, রাস্তা-ঘাট, হাটবাজারসহ সবত্র চলছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আলোচনা-পর্যালোচনা। তবে ভোটারদের মাঝে উৎসাহ –উদ্দীপনা আর আগ্রহ তুলনামূলক কম। এই উপজেলায় সবক’টি পদে আওয়ামীলীগ আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ।
অনেক প্রার্থী মাইকে গানের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ভোটারদের ৫ জুন ভোট কেন্দ্রে আনার ব্যাপারে পাড়ায় মহল্লায় প্রার্থী ও সমর্থকরা জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং আচরণবিধি বাস্তাবায়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
অপরদিকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন এমনটাই প্রত্যাশা ভোটারসহ সংশ্লিষ্টদের।