রবিবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ঠিকাদারের কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি, কর্মকর্তাকে বদলি

প্রতিবেদক
Newsdesk
জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ ৮:০৩ অপরাহ্ণ

রাজশাহী প্রতিনিধি :

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে খাদ্য বিভাগে বস্তা সরবরাহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক ঠিকাদার। প্রতিটি বস্তা গ্রহণের জন্য তার কাছে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) পক্ষ থেকে বস্তপ্রতি ৪ টাকা ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের জন্য ১ টাকা করে ঘুষ দাবি করা হয়েছে। দুই কর্মকর্তার জন্য এই ঘুষের দফারফা করছিলেন খাদ্য বিভাগেরই এক পরিদর্শক। বিষয়টি খাদ্য অধিদপ্তরে জানাজানি হলে তাকে তাৎক্ষণিক সিলেটে বদলি করা হয়েছে।

এদিকে, ঘুষ চাওয়ার ব্যাপারে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঢাকার মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্সের স্বত্ত্বাধিকারী হারুন-অর-রশিদ গত ৮ জানুয়ারি এই অভিযোগ করেন। হারুন জানান, বস্তাপ্রতি তিনি সর্বোচ্চ ২ টাকা দিতে রাজি ছিলেন। মধ্যস্থতাকারী কর্মকর্তা ৫ টাকার নিচে নামেননি। ফলে তার বস্তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

হারুন মধ্যস্থতাকারী কর্মকর্তা হিসেবে খাদ্য বিভাগেরই পরিদর্শক আবদুর রহিমের নাম উল্লেখ করেছেন। এই আবদুর রহিম দীর্ঘসময় রাজশাহীতে কর্মরত ছিলেন। অনিয়ম-দুর্নীতির বহু অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও পাবনায় তিনি বিপুল সম্পদ গড়েছেন। একাধিকবার তিনি বিভাগীয় শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন। এবার ঘুষ চাওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে তাকে সিলেটে বদলি করা হয়েছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জেই থাকতে তিনি গিয়েছেন হাইকোর্টে।

দুই কর্মকর্তার জন্য ঘুষের দেনদরবার করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিদর্শক আবদুর রহিম বলেন, ‘‘আমি তদন্ত কমিটির সামনে আমার বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। ঠিকাদার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। অভিযোগের কারণে সিলেটে বদলির বিষয়টিও সঠিক না।’’

খাদ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, আমন ২০২৪-২৫ সংগ্রহ সফল করার লক্ষ্যে মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্সের সঙ্গে ৩০ কেজি ধারণক্ষমতার ৬ লাখ পিস বস্তা সংগ্রহের চুক্তি করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ৪ লাখ পিস বস্তা সরবরাহ করেছে। শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্য গুদামের ২ লাখ পিস বস্তা সরবরাহ করতে পারেনি ঘুষ চাওয়ার কারণে।

মেসার্স হারুন অ্যান্ড সন্স রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুর খাদ্যগুদামে ৫০ হাজার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা খাদ্যগুদামে আড়াই লাখ, রহনপুর খাদ্যগুদামে এক লাখ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে দুই লাখ খালি বস্তা সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে রহনপুরে এক লাখ বস্তা সরবরাহ করে। এরপর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে এক ট্রাক বস্তা পাঠানোর পর অনৈতিক আবদারের মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।

লিখিত অভিযোগে হারুন অ্যান্ড সন্স জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামের ওসি শাকিলা নাসরিন নভেম্বরের শেষ দিকে তাকে ফোন করেন এবং জরুরি ভিত্তিতে তার গুদামে বস্তা সরবরাহ করতে বলেন। তার কথায় তিনি এক ট্রাক বস্তা পাঠান গত ১ ডিসেম্বর। ট্রাকে ৩১ হাজার পিস বস্তা ছিল। বস্তা যাওয়ার পর ওসি শাকিলা নাসরিন সেগুলো গ্রহণে গড়িমশি করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পরিদর্শক আবদুর রহিমের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন ঠিকাদার হারুন-অর-রশিদকে। হারুন ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন রহিম তাকে বলেন, বস্তাপ্রতি ওসিকে ৪ টাকা ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে ১ টাকা করে দিতে হবে। তাহলে তার বস্তা গ্রহণ করা হবে।

এই ঘটনার পর পরিদর্শক রহিমকে বদলি করা হলেও ওসি শাকিলা নাসরিন আছেন বহাল তবিয়তে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য শনিবার (১৯ জানুয়ারি) শাকিলা নাসরিনকে তিনবার ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন ধরেননি। পরবর্তীতে তার ফোন নম্বরে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়। এরপরও তার সাড়া মেলেনি। এ কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘আমার নাম করে আবদুর রহিম ঘুষ দাবি করেছেন কি-না, এটি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সঠিক ঘটনা বের হয়ে আসবে।’’

ঠিকাদার হারুন অর-রশিদ জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর খাদ্যগুদামে তাকে ২ লাখ পিস বস্তা সরবরাহ করতে হবে। এই বস্তার জন্য তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। হয়রানি এড়াতে তিনি বস্তাপ্রতি সর্বোচ্চ ২ টাকা করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিদর্শক রহিম রাজি হননি। এ অবস্থায় তিনি বস্তাভর্তি ট্রাক ফেরত পাঠাতে বলেন কিন্তু ওসি শাকিলা সেটিও করছিলেন না। ৩ দিন তার ট্রাক আটকে রাখা হয়। ফলে তাকে অতিরিক্ত ৭২ হাজার টাকা ট্রাকভাড়া দিতে হয়। ৩ দিন পর বস্তাভর্তি ট্রাক ফেরত পাঠানো হয় গুদাম থেকে।

হারুন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গুদামে ঘুষের জন্য বস্তা দিতে না পেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, হার্টের মাইনর অ্যাটাক হয়েছে। মানসিক চাপে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন জানিয়ে এই ঠিকাদার অভিযোগের সঙ্গে তার চিকিৎসার সমস্ত কাগজপত্রও দাখিল করেছেন।

হারুন জানান, হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে তিনি বস্তা না নেওয়ার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর খাদ্য বিভাগ বিষয়টির তদন্ত করছে। ওসি শাকিলা নাসরিন তদন্ত কমিটির কাছে দাবি করছেন, সরবরাহ করা বস্তা ছিল ওজনে কম। হারুন প্রশ্ন তোলেন, ‘‘বস্তায় ত্রুটি থাকলে তিন দিন কেন আটকে রাখলেন? ৩ দিন বস্তা আটকে রেখে রোদে শুকানো হয়েছে। এরপর বলা হচ্ছে যে বস্তা ছিল ওজনে কম।’’ হারুন বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটি ৩ দিন ট্রাক আটকে রাখার ব্যাখ্যা চেয়েছিল। তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজও চেয়েছিল। ওসি দাবি করেন, সিসি ক্যামেরা নেই। কিন্তু এখনও গুদামে ক্যামেরা আছে।’’

ঠিকাদার হারুনের অভিযোগ তদন্ত করছেন খাদ্য অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সেলিমুল আজম। তিনি জানান, ঠিকাদার হারুনের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষ হয়েছে। আগামী দু’-একদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মহাপরিচালকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তদন্তে কী পাওয়া গেছে তা এখনই জানাতে চাননি তিনি।

 

 

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ডিসেম্বরে সংশোধিত বিধিমালা চূড়ান্ত হবে : রিজওয়ানা হাসান

উদ্যোক্তাদের বিকাশে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চান শিল্প উপদেষ্টা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানি ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

সাভারে ৫ ছাত্র হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

সমাবেশস্থল যেন বিএনপির উৎসবের মঞ্চ

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ বলে পাকিস্তানকে হারালো ভারত

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ বলে পাকিস্তানকে হারালো ভারত

পলিথিনের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানে সরকার, নভেম্বরে শুরু অভিযান

অর্থ লুটকারীদের ছাড় দেয়া হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

আইন মেনে হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানোর নির্দেশ

চীনের ইউনানে ভূমিধস, চাপা পড়েছেন ৪৭ জন