নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক সংগ্রাম করে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম কিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ তার গঠনতন্ত্র মেনে চলে। দেশের সংবিধান মেনে চলে। আমাদের যারা প্রার্থী হবেন, তারা এখান থেকে ফরম সংগ্রহ করবেন। এছাড়া আট বিভাগে দশটা বুথ তৈরি করে দিয়েছি। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ২টি এবং বাকি বিভাগগুলোতে ১টি করে। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর সংসদীয় বোর্ড দারা প্রার্থীর যোগ্যতা যাছাই, জনপ্রিয়তা ও কার্যক্রম বিবেচনা করে মনোনয়ন দেওয়া হবে। গোটা বাংলাদেশে একটিই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সবসময় দলীয় কাজগুলো অত্যান্ত সুগঠিতভাবে সুন্দরভাবে করে থাকে। আমরা সবসময় আমাদের গঠনতন্ত্র মেনেই কাজ করি। যারাই প্রার্থী হোক সবাই যোগ্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই, তবে সংসদীয় বোর্ড ও তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে একজনকে নির্বাচিত করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলান অন্যান্য দলগুলোও এভাবে নির্বাচনে আসবে। যেসব দল নির্বাচনে আসছে তাদের সাধুবাদ জানাই। যাদের জনগণের উপর আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই বা দল হিসেবে সুসংগঠিত নয়, তারাই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। অথচ একটা নির্বাচন বানচাল করলে দেশের যে ক্ষতি হয়, সেটা দু:খজনক। এর আগে ২০১৩, ১৪ সালে আমরা দেখেছি নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নি সংযোগ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যারা ধ্বংসাত্মক কাজ করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়, গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করতে চায়, সাধারণ মানুষকে আগুনে পোড়াচ্ছে, দেশবাসীকে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, আমরা চাই জনগণের এই ভোটের অধিকার অব্যাহত থাকবে এবং ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হবে।
তিনি বলেন, অতীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা পর আমরা দেখেছি রাতের অন্ধকারে বন্দুক হাতে নিয়ে ক্ষমতার পালা চলছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেওয়ার জন্য জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছিল। আমরা সংগ্রাম করেছি, আন্দোলন করেছি, আমাদের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু আমরা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। ২০০৯ সালে থেকে এ পর্যন্ত একটা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই কিন্তু বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।