বাগেরহাট প্রতিনিধি
নিখোঁজের পাঁচ দিন পরে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক খানজাহান (রহঃ)-এর মাজার সংলগ্ন দীঘি থেকে ভাসমান অবস্থায় প্রহলাদ কুমার দাস ওরফে ভোলা ( ৪৫) নামের এক ভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে দীঘির পূর্ব পাড় দিয়ে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের শরীরে থাকা সোয়েটার, জামা ও লুঙ্গী দেখে পরিবারের সদস্যরা মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম।
উদ্ধার হওয়া মরদেহ প্রহলাদ কুমার দাস ওরফে ভোলা কচুয়া উপজেলার সাংদিয়া গ্রামের পরিতোষ কুমার দাসের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নবেম্বর) দুপুরে বাড়ি থেকে ভ্যান চালানোর উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফেরেনি তিনি। পরে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাতে কচুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন স্ত্রী দিপিতা রানী দাস।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের খবরে দীঘির পূর্ব পাড়ে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। দীঘির পূর্বপাড়ের বাসিন্দা সুমনা আক্তার জুথি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দুকে থালা-বাসন ধোয়ার জন্য বাড়ির সামনে থাকা দীঘির ঘাটে যাই। তখন দীঘির মধ্যে অনেক দূরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখি। পরবর্তীতে সবাইকে জানাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা মটদেহটি উদ্ধার করেছি। মরদেহের বেশির ভাগ অংশ পচে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ৫-৬দিন আগে মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
ওসি আরও বলেন, নিহতের বাবা পরিতোষ কুমার দাস ও ভাই থানায় এসেছেন। শরীরের কাপড় দেখে নিহতকে ভ্যান চালক প্রহলাদ কুমার দাস ওরফে ভোলা হিসেবে শনাক্ত করেছেন তার বাবা পরিতোষ কুমার দাস। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।