কক্সবাজার প্রতিনিধি :
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) মোট ২৩১ জন সদস্য অস্ত্রসহ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে থাইংখালি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে ১১৪ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে তাদেরকে বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়। অপরদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে ঢুকে আরও ২ জন বিজিপি সদস্য।
এর মধ্যে বিজিপিসহ মিয়ানমার সরকারের অন্যান্য বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। এর আগে এসেছেন ১১৫ জন।
আজকে এখন পর্যন্ত ১১৬ জন বিজিবির হেফাজতে আছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) মোট ২৩১ জন সদস্য এখন পর্যন্ত পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্য সংখ্যা ছিল ১১৩। পরে আরও দুই স্থান থেকে ১১৬ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়া হয়।
সকাল ৯টার দিকে মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেল আঘাত হেনেছে ঘুমধুম বেতবুনিয়া বাজার সংলগ্ন ছৈয়দ নুর শিকদারের বসতঘরে। ভেঙে গেছে জানালার কাচের আয়না, ফাটল ধরেছে বাড়ির দেওয়ালে।
মিয়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ওই ঘটনাটি বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।