নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে প্রতিবছর বন্যায় প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব গবেষণা সংস্থাগুলো। তবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না করলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছে তারা। অন্যদিকে, সম্প্রতি আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও চলমান বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হলেও কৃষি অধিদফতর বলছে, জুনের এই দুর্যোগ জাতীয় পর্যায়ে তেমন প্রভাব ফেলবে না।
বাংলাদেশের বন্যায় প্রতি বছর প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ জলমগ্ন হয় মন্তব্য করে যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ ইকোনমিক্স জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশে বছরে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়। এছাড়া সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে দেশের ৫০ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় এক লাখ হেক্টর জমির ফসল, পাঁচ লক্ষাধিক কৃষক। যার আর্থিক ক্ষতি এক হাজার ৬০ কোটি টাকা।
এদিকে, কৃষি অর্থনীতিবিদ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এই বন্যায় শুধু হাওর এলাকা নয়, বরং সমস্ত সিলেট অঞ্চলই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সিলেটে বন্যার কারণে ফসলসহ অন্যান্য সব উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলদেশের প্রাকৃতিক এসব আঘাতে ফসলের ক্ষতি নির্ণয়ে টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দিয়ে কৃষি অর্থনীতিবিদ নজরুল ইসলাম বলেন, এইসব সময়ে কোনো টাস্কফোর্সের কাজ দেখা যায় না। বন্যার পূর্বাভাস দেয়া, কোন অঞ্চল বেশি বন্যার শিকার হচ্ছে, কোন কোন অঞ্চলে কম হচ্ছে, এইসব ভেবে সেই অনুযায়ী আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখা যেতে পারে।
অন্যদিকে, জুন মাসের এ বন্যায় খাদ্য নিরাপত্তায় সংকট তৈরি হবে না দাবি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি- বোরো ধানের উৎপাদন ব্যাহত হয়নি। তবে বন্যার্ত অঞ্চলগুলোতে শাক-সবজির আবাদসহ সাময়িক ক্ষতি হলেও, সেই ক্ষতি পূরণ করে নেয়া সম্ভব।