স্পোর্টস ডেস্ক :
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মাস তিনেক আগে থেকেই দেশের বাইরে ছিলেন সাকিব আল হাসান৷ সরকার পতনের আন্দোলনের সময়েও ছিলেন ক্রিকেটে ব্যস্ত। তবুও তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে হত্যা মামলা। এমনকি জাতীয় দলের ছেড়ে তাকে দেশে ফেরত আনতে আইনি নোটিশও দেয়া হয়েছে।
শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে এই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। এই নিয়ে সন্ধ্যায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। যদিও তার দাবি এখনো সেই নোটিশ বুঝে পাননি তিনি।
মিরপুর শেরে বাংল বিসিবি কার্যালয়ে আজ বোর্ড পরিচালকদের সাথে অনানুষ্ঠানিক এক বৈঠকে বসেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। দুপুরে শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হওয়া এ দীর্ঘ বৈঠকে অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
তবে সবার আগ্রহ ছিল হত্যা মামলায় নাম আসা তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। মূলত ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন পুলিশের গুলিতে নিহত হন গার্মেন্টসকর্মী রুবেল। যার নির্দেশদাতা হিসেবে সাকিবের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করে নিহতের পরিবার।
যেখানে মামলার ২৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। সেই ঘটনার পর আজ তদন্তের স্বার্থে খেলা থেকে সাকিবকে অপসারণ করে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিসিবি বরাবর আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে। এমতাবস্থায় সাকিবকে নিয়ে কি ব্যবস্থা নেবে বিসিবি, এমন প্রশ্ন ছিল বিসিবি সভাপতির কাছে।
জবাবে তিনি বলেন,‘একটি মামলা হয়েছে, তবে আমরা লিগ্যাল নোটিশ পাইনি। এ ব্যাপারে কথা বলতে পারব না এখন। মামলাটা এফআইআর হয়েছে। এরপর ইনভেস্টিগেশন হবে। তারপর একটা দিকে যাবে মামলাটা। তবে এখন খেলতে বাধা নেই। ম্যাচের মাঝখানে উইথড্র করতে পারব না।’
তিনি আরো বলেন,‘এটার বিরুদ্ধে কিন্তু চার্জ গঠন হয়নি। এর আগে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। এই মুহূর্তে টেস্ট ম্যাচ চলছে। বিসিবির সাথে সাকিবের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ও ইম্প্লোয়ি বলতে পারেন। তাই ম্যাচটা শেষ হলে আমরা ডিসিশন নেব। তখন লিগ্যাল নোটিশের ব্যাপারে কথা বলতে পারব, ওই সময় হয়তো পেয়ে যাব লিগ্যাল নোটিশটা।’