নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর বাড্ডায় দুলাল সরদার নামে একজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।
বিকেলে সমীর চন্দকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত তিন দিন মঞ্জুর করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বাড্ডা থানার এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর মো. শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বাড্ডা থানা-পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করেন। তখন শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. দুলাল সরদার মারা যান।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, রমেশ চন্দ্র সেন, লতিফ মোল্লা প্রমুখ।
মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, আসামি সমীর চন্দ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মর্মে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করা প্রয়োজন।