আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি রেলস্টেশনে বোমা হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও ৬২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার সকালে প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ১৪ জন সেনাসদস্য রয়েছেন। খবর বিবিসি ও দ্য ডন অনলাইনের।
বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিগোষ্ঠী বালুচ লিবারেশন আর্মি হামলার দায় স্বীকার করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর একটি ইউনিটকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে। ইউনিটটি একটি প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ করে কোয়েটা থেকে ফিরছিল।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি প্রাণঘাতী হামলার তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই প্রদেশ থেকে তিনি সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। হামলাকারীদের ‘পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেছেন, তাদের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। প্রাণঘাতী এই হামলার নিন্দা করে পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানি বলেন, সন্ত্রাসীরা মানবতার শত্রু। কারণ, তারা নিরীহ মানুষকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
কোয়েটার সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অপারেশন মুহাম্মদ বালুচ জানান, পেশোয়ারগামী একটি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছিল, তখনই স্টেশনের ভেতরে বিস্ফোরণটি ঘটে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলেন, সকাল ৯টায় জাফর এক্সপ্রেস পেশোয়ারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসার আগমুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটে।
সিভিল হাসপাতালে ভর্তি আহত আব্দুল জব্বার বলছিলেন, ‘বুকিং অফিস থেকে টিকিট কিনে স্টেশনে প্রবেশ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। আমি আজ যে ভয়াবহতার মুখোমুখি হয়েছি, তা বর্ণনা করতে পারব না। মনে হচ্ছিল, কেয়ামত ঘটে গেছে।’ মুহম্মদ সোহেল মুলতান যাওয়ার ট্রেন ধরতে বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি বলেন, ‘দেখলাম স্টেশনের সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আহত লোকেরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন।’