নিজস্ব প্রতিবেদক :
অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, লোপাট, অর্থনৈতিক কেলেংকারির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণঅভুত্থ্যানের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতন হলেও তার দোসররা সর্বত্রই ঘাপটি মেরে আছে। সাধারণ মানুষ এদেরকে বলছে ‘সরকার পার্টি’। সরকার প্রশাসনের স্তরে স্তরে থেকে অবৈধভাবে নিজেদের ঝুলিতে ভরেছেন কোটি কোটি টাকা। এই তালিকায় আছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সার্কেল-১০-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান, প্রকল্পের ঠিকাদার, সাবেক ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ সেলিম।
লুটেরা এই ত্রিরত্ন আগেও লুটপাটে ব্যস্ত ছিল এখনও আছেন বহাল তবিয়তে। ডিএনসিসি’র ৩৮ নং ওয়ার্ডে ড্যাপ’র পরিচালনায় ৩৮ নং ওয়ার্ডের থানা রোড ও আলীর মোড় থেকে নামা পর্যন্ত সড়ক (পূর্বাচল সড়ক) দুটি গ্রাউন্ড ড্রেনেজসহ উন্নয়নের পরিকল্পনার যে কার্যক্রম চলমান সেই পরিকল্পলনায় ভর করে পকেট ভাড়ি করছেন উল্লিখিত ত্রিরত্ন যার নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান। অর্থ লোপাটে এদের আলাদা পদ্ধতি থাকলেও কেউ কারো জন্য বাধা হয়ে ওঠে না।
আসে সরকার যায় কিন্তু সুবিধাবাদিদের দল লেবাস পাল্টে ঠিকই সমাজে থেকে যায়। পতিত সরকারের সময় যারা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে উত্তর বাড্ডায় একটি উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। এলাকাবাসী এই কাজটির অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে ডিএনসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান, অঞ্চল-১০ এর বিরুদ্ধে আবেদন-নিবেদন কোন সুরাহা করতে পারেনি। ৫ আগস্টে সকল বৈষম্য দূর করার জন্য ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের কাছে অভিযোগ দিলেও মতিউর রহমান বহাল আছেন যথারীতি। উপরন্তু অভিযোগ দেয়ায় এলাকাবাসীর সাথে দূর্ব্যবহার করে কাজ বন্ধ করে দেয়া হুমকীও দিচ্ছেন। অন্যদিকে দুর্নীতির অভিযোগ অভিযুক্ত জেলবাসী প্রাক্তন মেয়র আতিকুল ইসলামের আস্থাভাজন ও রুয়েট ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতা মতিউর রহমান এখনও আতিকুলের ‘ঘুপচি টেন্ডার’র ঠিকাদারের মুনাফা নিশ্চিতসহ নিজের পার্সেন্টেজ নিশ্চিত করায় ব্যস্ত। অঞ্চল-১০ এর সব কাজে মেয়র, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও ঠিকাদারদের সাথে বিশেষ সখ্য রেখে দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন শত কোটি টাকা। বর্তমানে চলমান কাজটি নিজের মতো করার জন্য পলাতক সাবেক কাউন্সিলের পাশাপাশি স্থানীয় হাজীপাড়ার বিএনপি নেতা মতিনকে সাথে রেখেছে। এই মতিনই এখন মতিউর রহমানের শেল্টারদাতা বলে জানান এলাকাবাসী খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে এই ত্রিরত্ন সুকৌশলে ভূমিদস্যু এক ডেভেলপারের স্বার্থ সংরক্ষণ করছে।
এই চক্রের অন্যতম সদস্য শেখ সেলিম। কোটি টাকার নয়ছয় করেও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ সেলিম আছেন খোশমেজাজেই। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্টরা যখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অথবা কারাগারে আছেন তখন শেখ সেলিম বর্তমান সুবিধাবাদীদের সাথে দহরম মহরম করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সুযোগ সন্ধানী শেখ সেলিম আওয়ামী সাইনবোর্ড খুলে ফেলে নতুন সাইনবোর্ডের সন্ধান করছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীকে কোনঠাসা করতে ফেলেছেন নানান ঝামেলায়। হোন্ডা-গুন্ডা দিয়ে নির্বাচিত হয়েই নির্বাচনী এলাকায় স্বরাজ কায়েম করেছিলেন। টেন্ডার, ক্যাবল লাইন, ইন্টারনেট সংযোগ, বাড়ি বিক্রি, বাড়ি তৈরি সবক্ষেত্রেই চাঁদা দিতে হতো তাকে। টাকার জন্য দিয়েছে ময়লাতেও মুখ। এলাকায় এমন কথাও চালু ছিল যে টাকার জন্য শেখ সেলিম ময়লায় মুখ দিয়েও টাকা তুলতে পারেন।
তিনি আগেও ছিলেন স্বেচ্ছাচারী এখনও স্বেচ্ছাচারীই আছেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৮নং ওয়ার্ড সর্বশেষ গঠিত ওয়ার্ডগুলির অন্যতম। এই ওয়ার্ডটি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠলেও মাস্টারপ্ল্যান (ঢাকা মহানগর এলাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা) ২০২২-২০৩৫, যা (ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান) বা ড্যাপ নামে পরিচিত অনুযায়ী বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
ফিরে দেখা : ৩৮ নং ওয়ার্ডের থানা রোড ও আলীর মোড় থেকে নামা পর্যন্ত সড়ক (পূর্বাচল সড়ক) দুটি গ্রাউন্ড ড্রেনেজসহ উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছিল সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সেলিমের মাধ্যমে। এই সড়ক দুটির মধ্যে আলীর মোড়-নামা সড়ক (পূর্বাচল সড়ক) টিতে বর্তমান প্রস্থ গড়ে ১৬ ফুট আর থানা রোডের প্রস্থ গড়ে ১৪ ফুট। এই সড়ক দুটি উন্নয়নের ক্ষেত্রে সড়ক দুটির গ্রাউন্ড ড্রেনেজ কাজের ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছিল বিগত সকারের সময়ে। ২০২৩ সালের আগস্টের ১ম সপ্তাহে কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে এই সড়কগুলি ২০ ফুট চওড়া সড়কে উন্নীত করার ডিজাইন ও প্রাক্কলন অনুমোদন করা হয়েছিল। এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর, ঠিকাদার ও সার্কেল-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান একজোট হয়ে এলাকাবসীর দুর্ভোগ বাড়িয়ে কামিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ।
এলকাবাসী এই প্রতিবেদককে বলেন, ৩৮ নং ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর শেখ সেলিম ফেসবুক, মাইকিং ও স্থানীয় মসজিদের মাধ্যমে গত ১৪ জুলাই, ২০২৩ তারিখে সড়ক পার্শ্ববর্তী সকল আবাসিক, অনাবাসিক ভবন মালিকের উদ্দেশ্যে সাধারণ নোটিশ দেয়। এছাড়াও কাউন্সিলরের লাঠিয়াল বাহিনী সড়কের পার্শ্ববর্তী ভবন ও স্থাপনায় লাল কালি দিয়ে মার্কিং করে সড়কের প্রশস্ততার সীমা নির্ধারণ করে দেয়। সড়কের প্রশস্ততার সীমা নির্ধারণে এলাকার ভবন মালিকদের কোন মতামত বা অনুমোদন ছিল না। স্থানীয় ভবন মালিকবৃন্দ প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলরের অনুসারীরা বিভিন্নভাবে তাদেরকে হুমকী-ধমকী দিয়ে বলে যে, এটা সরকারি কাজ এবং স্থাপনা স্বেচ্ছায় অপসারণ না করলে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হবে। অন্যদিকে ভাঙ্গার জন্য জরিমানাও তাদেরকেই দিতে হবে। যেখানে পতিত ভবন ভাঙ্গার জন্য ঠিকাদারকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেখানে অন্যায়ভাবে জোর করে ভবন মালিকদের দিয়ে ভাঙ্গচুড়ের কাজ করিয়েছেন। এই অন্যায় কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ভবন মালিকরা কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি।
নেপথ্যে ভূমিদস্যু ঠিকাদারের স্বার্থ : উন্নয়নের বিষয়ে কিছু প্রশ্নগুলি জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। উন্নয়নের কার্যক্রম আইনানুগ হয়নি বলেও এলাকাবাসী মতামত ব্যক্ত করেন। তাদের প্রশ্ন সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী সড়ক প্রশস্থকরণের জন্য পরিমাপে এবং লাল কালির মার্কিং করেনি, ভূমি অধিগ্রহণের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, কেন জনগণের কাছে উন্নয়ন পরিকল্পনা সুস্পষ্ট করা হয়নি। তাহলে কেন ঠিকাদার, নির্বাহী প্রকৌশলী আর কাউন্সিলরের লাঠিয়াল বাহিনী সড়ক প্রশস্থকরণের সীমা নির্ধারণ করলো। এখানেই লুকিয়ে আছে সকল প্রশ্নের উত্তর। উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যত্যয় ঘটানো হয়ে এই ওয়ার্ডে গড়ে ওঠা একটি আবাসন কোম্পানীর আবাসন প্রকল্পকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য। গ্রীণভ্যালি নামের এই ডেভেলপার কোম্পানীকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্যই ৩৮ নং ওয়ার্ডের থানা রোড ও আলীর মোড় থেকে নামা পর্যন্ত সড়ক (পূর্বাচল সড়ক) দুটি গ্রাউন্ড ড্রেনেজসহ উন্নয়নের পরিকল্পনায় ‘টেম্পারিং’ করেছেন সুবিধাবাদি ত্রিরত্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সার্কেল-১০-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর শেখ সেলিম ও প্রকল্পের ঠিকাদার।
এই ত্রিরত্নের মাস্টার মাইন্ড হচ্ছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান। অভিযোগ আছে প্রকল্পের কাজে নানারকম জটিলতা সৃষ্টি এই মতিউর একাধিক প্রকল্প থেকে অবৈধ উপায়ে অঢেল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন। নামে-বেনামে একাধিক ব্যাংকে গচ্ছিত রেখেছেন কাড়ি কাড়ি টাকা।
অনিয়মের অভিযোগ : ৩৮ নং ওয়ার্ডের থানা রোড ও আলীর মোড় থেকে নামা পর্যন্ত সড়ক (পূর্বাচল সড়ক) দুটি গ্রাউন্ড ড্রেনেজসহ উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় প্রকল্পের কাজ চললেও প্রকল্পের বিবরণ সম্বলিত কোন সাইনবোর্ড লাগানো হয়নি।
রাস্তার দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ৬ ইঞ্চি পুরুত্বের আবর্জনা অপসারণের কাজ ধরা হয়েছিল যা অহেতুক। কারণ সিটি কর্পোরেশনের আবর্জনা সংগ্রহের ব্যবস্থাপনা আগে থেকেই চালু থাকায় রাস্তায় কোন আবর্জনা জমা থাকে না। উপরন্তু ময়লা ব্যবসায়িরা মাসিক বিল নিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করে, ফলে রাস্তায় আবর্জনা জমা হওয়ার সুযোগ নেই।
এলাকাবাসি জানায়, সম্পূর্ণ রাস্তার ১২ ফুট চওড়া কংক্রিট পেভমেন্ট ভাঙ্গার চুক্তি থাকলেও ভাঙ্গা হয়েছে শুধুমাত্র মাঝ বরাবর যা ৬/৭ ফুট চওড়া। পুরাতন ইটের গাঁথনীর পিট ভেঙ্গে তা উদ্ধারকৃত উপাদান হিসাবে সিটি কর্পোরেশনে জমা প্রদান না করে তসরুপ করা হয়েছে।
কাজের চুক্তির শর্তানুযায়ী পুরাতন পাইপ বের করে উদ্ধারকৃত উপাদান হিসাবে সিটি কর্পোরেশনে জমা প্রদান করার কথা থাকলেও তা না করে সকল পুরাতন পাইপ ভেঙ্গে নতুন পাইপ বসানর ইবফ প্রস্তুত করা হয়েছে। উক্ত কাজে সিডিউলে ৬০ এমএম আরসিসি পাইপ দেয়ার কথা থাকলেও ঊীপধাধঃড়ৎ সধপযরহব দিয়ে এবং পুরাতন পাইপ ভেঙ্গে ফেলে অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন পাইপ নামিয়ে আবার মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। ফলে এই আইটেমের কাজ না করে অর্থ লোপাট করেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত জুন মাসে কাজ করার সময় একটি বাড়ির সীমানা দেওয়াল মাটি ধ্বসে পড়ে গেলেও তার দায়িত্ব সিটি কর্পরেশন নেয়নি। উপরন্তু খনন যন্ত্র দিয়ে সজোরে কংক্রিটের রাস্তার ঢালাই ভাঙ্গতে গিয়ে কম্পনে রাস্তার পাশের সব বাড়ির ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে ভূমিকম্পের দূর্যোগের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। উক্ত কাজে ভালো মানের ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও নিম্নমানের ইট দিয়ে সব পিট বানানো হয়েছে।
এলাকাবাসি জানান, বর্জ্য এবং পয়নিঃস্কাষণের জন্য ৫০ এমএম ব্যাসের ভালো মানের পাইপ সরবরাহের কথা থাকলেও সকল পিটে বাড়িওালারা নিজ খরচে সয়েল পাইপ যুক্ত করেছে।
একইভাবে সেরা মানের উপিভিসি পাইপ সরবরাহ করার কথা থাকলেও সকল পিটে প্রকল্পের আওতাধীন কাজ করার শর্ত থাকলেও বাড়িঅলাদের নিজ খরচে সয়েল পাইপ যুক্ত করাতে বাধ্য করেছেন।
এখানে ভেন্টিলেশনের বেলায় ২০০ এমএম ভালো কেয়ালিটির পাইপ দেয়ার কথা থাকলেও তা প্রকল্প থেকে সরবরাহ করা হয়নি। সকল পিটে বাড়িওালারা নিজ খরচে সয়েল পাইপ যুক্ত করেছেন।
উক্ত প্রকল্পে কোন বাইপাস ড্রেন করা হয়নি। পুরাতন মূল ড্রেনকে বন্ধ করে করে কাজ করা হয়েছে। ৪৫০ মিমি বক্স কাটার প্রস্তুত করা কথা থাকলেও রাস্তার সাবগ্রেড প্রস্তুতের জন্য কোন বক্স কাটা হয়নি।
১ফুট ৩ইঞ্চি পুরু নতুন খোয়ার পরিবর্তে পুরাতন পিট ভাঙ্গা খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু প্রাক্কলনে কোথাও পুনঃব্যবহার বা স্যালবেজ ধরা নেই, অর্থাৎ পুরাতন সব মালামাল সরকারি সম্পদ। আর এই সরকারি সম্পদ ঠিকদার নিজ স্বার্থে নিজে লাভবান হওয়ার জন্য উক্ত সড়কের কাজে ব্যবহার করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউরের যোগসাজশে।
একালাবাসীর অভিযোগ সম্পর্কে নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমানের কাছে প্রকল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, অনিয়ম দুর্নীতি এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাম জেনে কি করবেন, ঠিকাদারের নাম জানতে হলে জনসংযোগ শাখায় লিখিত আবেদন দিন। ঠিকাদারের নাম কি প্রশ্ন করা হলো বলেন, কার নাম কি এটি আমার জানা বা জানানোর বিষয় নয়। নিয়ম-অনিয়মের কোন কথার জবাব আমি দিতে চাই না বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।