নিজস্ব প্রতিবেদক :
টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে অনেককেই চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক।
পরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণেও দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। হাসপাতলের ভেতরে ও সামনের ফটকে উভয় পক্ষের অনুসারীদের সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হলে সেখানে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাওলানা সাদ ও জুবায়ের পন্থী গ্রুপের মধ্যে বুধবার ভোরে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে স্থানীয় হাসপাতাল হয়ে বিল্লালকে (৬০) সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বিল্লালকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক বলেন, মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহত ৩৫ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং এদের মধ্যে সাতজন ভর্তি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা মেডিক্যালল চত্বরে উভয় পক্ষের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ঢামেকে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।
মৃত বিল্লালের ছেলে আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের বলেন, তার বাবা তাবলীগ জামাতের মূল ধারার, তিনি কোন গ্রুপের নয়। টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মারামারিতে তার বাবা আহত হন। পরে ভোরে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বিল্লাল ফরিদপুর সদর কুঠিবাড়ি কমলাপুর এর মৃত আব্দুস সামাদ শেখ এর ছেলে। বর্তমানে বাড্ডা বেরাইত নিজ বাড়িতে থাকতেন। পেশাই তিনি গার্মেন্টস বায়িং ব্যবসায়ী ছিলেন।
সেনাবাহিনীর ১৮ ইস্ট বেঙ্গলের ক্যাপ্টেন সাদমান বলেন, সকালে হাসপাতালে মাওলানা জুবায়ের এবং সাদ পন্থীদের মধ্যে হাসপাতালেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর শুনে এখানে সেনাবাহিনীর নিয়োজিত করা হয়। পরে দু’পক্ষকে হাসপাতালের ভেতর থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক।