আদালত প্রতিবেদক :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন চলাকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মো. জাভেদ নামে এক কয়েদিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন নিহতের খালাতো ভাই ও ওই ঘটনার সময় কারাগারে আহত কয়েদি সাংবাদিক শিকদার লিটন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুর রহমান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে কেরানিগঞ্জ মডেল থানাকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ভুক্তভোগী মারা গেছেন কিনা ও এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়েছে কিনা এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খানন কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, দিলীপ বড়ুয়া, মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল), নসরুল হামিদ বিপু, শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক, এনটিএমসির সাবেক ডিজি জিয়াউল আহসান, হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার, জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, ডেপুটি জেলার মোমিনুল ইসলাম, জেলার নাসির আহমেদ, ডেপুটি জেলার তানজিল হোসেন ও সৈয়দ হাসান আলী, প্রধান কারারক্ষী শামীম হোসেন, সহকারি কারারক্ষী হানিফ সিকদার, কারারক্ষী আবুল কালাম ও শের আলী কেরানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলন, সাজ্জাদ হোসেন খান বরকত, ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা কয়েদিরা আন্দোলন শুরু করেন। এসময় এজাহারনামীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সারা দেশের মতো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে কয়েদিদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিবর্ষণে অনেক কয়েদি আহত হন এবং মো. জাভেদ নামে একজন কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।