জাহিদ হাসান, নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে শফিকুল ইসলাম নামে পুলিশের এক এসআইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর পৌরশহরের উকিলপাড়া এলাকার পান মহলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান তিনি। পুলিশ সদস্য শফিকুল উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি জামালপুর পুলিশলাইন্সে কর্মরত ছিলেন। ছুটিতে তিনি গ্রামের বাড়ি দুর্গাপুরে এসেছেন।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাজার করার উদ্দ্যেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। পথিমধ্যে ওই এলাকায় বেশকয়েকজন দুবৃত্ত তাকে লক্ষ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। পরবর্তিতে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দুবৃত্তরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তিতে রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফারহানা বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ডান পায়ের কব্জির নীচ বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এছাড়া শরিরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাজার করার উদ্দ্যেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন শফিকুল।পথিমধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। এতে তার একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান ।
মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার ওসি বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আসামীদের ধরতে চারদিকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুঠোফোনে আমাদের প্রতিনিধি দুর্গাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) বাচ্চু মিয়ার সাথে হয়। তিনি জানান, নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ঘটনায় জড়িত এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও সিসি ক্যামেরা দেখে এই নৃশংস খুনের ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করেছে পুলিশ। খুনিদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ। যে কোন সময় গ্রেপ্তার হতে পারে খুনিরা।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম নামের পুলিশের এই এসআই একজন সহজ সরল ভালো মানুষ ছিলেন। পুলিশের চাকরি জীবনে তিনি বেতারে কর্মরত ছিলেন। তার সাথে নিজ এলাকায় কিংবা কর্মস্থলে কারো সাথে কোন শত্রুতা ছিল না। এলাকাবাসীর ধারণা খুনিরা হয়ত অন্য কাউকে খুন করতে গিয়ে ভুলবশত এসআইকে খুন করেছে। খুনের ঘটনাটি রহস্যজনক । সঠিক তদন্তের দাবি এলাকাবাসীর ।