রবিবার , ১১ মে ২০২৫ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

যাদের কাছে অনেক ট্যাক্স বকেয়া, তারা এবার ছাড় পাবেন না : ডিএনসিসি প্রশাসক

প্রতিবেদক
Newsdesk
মে ১১, ২০২৫ ৬:২৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, প্রভাবশালী যারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ট্যাক্স দেন না, যাদের কাছে অনেক বকেয়া আছে,তারা এবার আর কোনো ছাড় পাবেন না।

স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের ট্যাক্স প্রদান করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বপ্রণোদিত হয়ে বকেয়া ট্যাক্স পরিশোধ না করলে সিটি কর্পোরেশনের লোকজন বাড়িবাড়ি গিয়ে বিরক্ত করবে ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আজ রোববার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পৌরকর মেলা ২০২৫ উদ্বোধনকালে প্রশাসক এ সব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ কর দিতে চায়, কিন্তু মানুষের ভ্রান্ত ধারণা আছে কর দেওয়ার প্রক্রিয়া জটিল তাই তারা কর দিতে আসে না। এবার আমরা এই সমস্যার সমাধান করেছি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পৌরকর অনলাইনে প্রদান প্রক্রিয়া সহজিকরণ করা হয়েছে। ঘরে বসেই কর দেওয়া করা যাবে।

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘আমরা ডিএনসিসির অঞ্চলগুলোতে গণশুনানি করে দেখেছি নাগরিকদের রাস্তা, ড্রেনেজ ও সড়কবাতির চাহিদা অনেক, সে অনুপাতে রাজস্ব আদায় নেই। রাজস্ব আদায় না হওয়ার কারণ হিসেবে তিনটি বিষয় চিহ্নিত করেছি, প্রথমত ডিএনসিসির নতুন সংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ এলাকা কর তালিকার অন্তর্ভুক্ত নেই। আবাসিক এলাকাগুলোতেও বাণিজ্যিক ব্যবহার হচ্ছে সেখান থেকে আমরা কোনো রাজস্ব পাচ্ছি না। নতুন করে হওয়া প্রচুর দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে কর প্রদানের তালিকার আওতায় আনতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা কর দেয় বা যারা কর দেয় না সবাইকেই সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। স্থায়ী লোকবল নিয়োগ করতে গেলে সেখানে তাদের বেতন ভাতা দিতে রাজস্ব ব্যয় হচ্ছে, অবকাঠামো উন্নয়নে রাজস্বের বড় অংশ ব্যয় হয়। এই ব্যয়কে মাথায় রেখে আদায়ের লক্ষ্য পূরণ ও পৌরকর প্রদান সহজিকরণ করতে এই পৌরকর মেলার আয়োজন।’

প্রশাসক বলেন, আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি ডিএনসিসির এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলো থেকে কর আদায় করা গেলে আমাদের উন্নয়ন ব্যয় এর চেয়ে আদায় বেশি হতো। উদাহরণস্বরূপ তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, বসুন্ধরা সাথে আমরা আলোচনা করেছি তারা ট্যাক্স দিতে রাজি হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের আমরা গণশুনানির মাধ্যমে তাদেরকে কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি। মেলায় এসে কর দিলে তারা সুযোগ সুবিধা পাবে এবং এক টেবিলে বসে তাদের সকল সমস্যা সমাধান করতে পারবে। তারাও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ডিএনসিসি প্রশাসক আক্ষেপ করে বলেন, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক ভাবে কর প্রদান করে না। ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা ট্যাক্স বকেয়া আছে। তেমনি রেনেসাঁস হোটেল, ওয়েস্টিন হোটেল ও বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেও এমন পরিমাণ ট্যাক্স বকেয়া আছে। তারা সিটি কর্পোরেশন থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রহণ করে অথচ ট্যাক্স প্রদান করে না এটা অনৈতিক।

তিনি বলেন, কর তালিকায় থাকা এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ন্যূনতম এক লাখ টাকা কর বকেয়া আছে প্রায় ২৫ হাজার লোকের কাছে। কর তালিকার বাইরে আছে এর প্রায় পাঁচ গুনেরও বেশি। মেলা পরবর্তী সময়ে কর তালিকায় সকল নাগরিকদের আনার জন্য এ্যাসেসমেন্টের জন্য লোক পাঠানো হবে। তাই, নাগরিকদের কাছে অনুরোধ আপনারা নিজেরা স্বপ্রণোদিত হয়ে কর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে পৌরকর প্রদান করুন। মেলায় আমরা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ রিবেটের ব্যবস্থা রেখেছি। কোনো হয়রানি যেন না হয়, সেজন্য অনলাইন পোর্টাল খোলা রাখা হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স যেমন ঘরে বসে পাচ্ছেন তেমনি হোল্ডিং ট্যাক্স ও ঘরে বসে দেয়া যাবে।

প্রশাসক বলেন, নাগরিকদের কর দেওয়া দেশের প্রতি তাদের কর্তব্য। তাই সবাই কর প্রদান করুন। যাদের নিকট অনেক বেশি বকেয়া তাদেরকে অতি শিগগিরই ক্রোকের নোটিশ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ঢাকাকে যদি আমার পরিবর্তন করতে চাই তাহলে সিটি কর্পোরেশনকে স্বাবলম্বী হতে হবে অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হলে সিটি কর্পোরেশন যেমন ২৪ ঘণ্টা আপনাদের পাশে আছে তেমনি আপনাদেরও ট্যাক্স দিয়ে আমাদের সাথে থাকতে হবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহসহ ডিএনসিসি কর্মকর্তাবৃন্দ।

সর্বশেষ - জেলার খবর

আপনার জন্য নির্বাচিত