# বহাল তবিয়তে হোতারা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) প্রায় ৬ কোটি টাকায় ৪টি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে অভিযোগে পাওয়া গেছে । সূত্রে জানা গেছে, মূল্যায়ন কমিটির চূড়ান্ত সভার আগেই গবেষণা সম্মানয়কারী ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ড. মো: নুরুল হুদা ভূঁইয়া, কমিটির আর এক প্রভাবশালী সদস্য ও ঢাকা গবেষণাগারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো: হোসেন সোহরাব, ইনারস-এর পরিচালক ড. মো: সেলিম খান, এসএসও সত্যজিৎ রায় রনি, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো: বেনজরি আহমেদ ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন গোপনে এবং অবৈধভাবে ১ কোটি টাকার বিনিময়ে ৪টি কোম্পানীকে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের টেন্ডার ভাগ করে দিয়েছে। যার ফলে গত ২৩ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটির চূড়ান্ত সভা শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, ধানমন্ডির এ্যামব্রোসিয়া রেষ্টুরেন্টে গত ২৩ মার্চ বিজ্ঞানীদের ইফতারের নামে নিম্নোক্ত ৪টি কোম্পানী থেকে ৬০ লাখ টাকা অগ্রিম লেনদেন করা হয়েছে। সাজানো দরপত্রে মোট ৮টি কোম্পানী টেন্ডারে অংশগ্রহন করে। কিন্তু গোপনে ৪টি কোম্পানীকে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের টেন্ডার ভাগ করে দিয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, ড.মো: নুরুল হুদা ভূঁইয়া বহু বছর আগে ছাত্রদলের নেতা পরিচয় ভাঙিয়ে ৫ আগষ্টের পর ২০ জন সিনিয়রকে ডিঙিয়ে গবেষণা সমন্বয়কারীর পদ বাগিয়ে নিয়েছেন, ড. মো: হোসেন সোহরাব প্রজেক্টে ইতোমধ্যেই কোটি টাকার অডিট আপত্তি হয়েছে। ড. মো: সেলিম খান: প্রজেক্টে ১০ কোটি টাকার অডিট আপত্তি রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিসিএসআইআর রাজশাহী গবেষণাগারে থাকাকালীন গাছ বিক্রিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
সত্যজিৎ রায় রনি: ফ্যাসিষ্টদের দোসর হিসেবে শেখ হাসিনার সাথে শাহবাগ ও চকবাজার থানা মামলা থাকলেও, নুরুল হুদা ভূঁইয়া এবং হোসেন সোহরাবের খুটির জোরে এখনও ছড়ি ঘোরাচ্ছে। মো: বেনজির আহমেদ: নিয়োগে কোটি টাকার দুর্নীতি থাকলেও এবং মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলেও দুদকের চিঠি গায়েব। কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন: অবৈধভাবে একাধিক পদোন্নতি নেওয়া মামুন সরকারী আইন উপেক্ষা করে আদম ব্যবসা করে সেই টাকা দিয়ে বিসিএসআইআরে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।
হোসেন সোহরাবের প্রকল্পের দুর্নীতি: ডিপিসি সভার অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ কাজে প্রাক্কলিত ব্যয়ের অতিরিক্ত ব্যয় ও অতিরিক্ত কাজের আদেশ দেয়, যা বেআইনি। এই বিষয়ে অডিট আপত্তি হয় এবং টাকা দিয়ে তা ম্যানেজ করে। ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড (৬মাস) পূর্ণ হবার আগেই বিধিবহির্ভূত ভাবে ১০০% বিল প্রদান করেছে। গ)বিরাট আকারের লিফট ক্রয় করেছে পেশেন্ট বেড পরিবহনের জন্য। এই পর্যন্ত এর কোনো ব্যবহার নেই। হোসেন সোহরাবের সহযোগী সত্যজিৎ রায় সরকারি চাকরির বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরে সে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা দিয়ে চাকরি নেয় । এই বিষয়ে বার বার অডিট আপত্তি হয় এবং টাকা দিয়ে তা ম্যানেজ করে।