বৃহস্পতিবার , ৭ আগস্ট ২০২৫ | ২৪শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল পুলিশের কাছে জমি বিক্রির পর সেই জমি ফের বিক্রি করে বসুন্ধরার কাছে

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ৭, ২০২৫ ৮:২৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব  প্রতিবেদক :

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার পাশাপাশি আদালতের আদেশে তার এবং সংশ্লিষ্টদের ১৩টি ব্যাংক হিসাবের ১৭ কোটি টাকা ও যমুনা ফিউচার পার্কের ১ লাখ বর্গফুট কমার্শিয়াল স্পেস ক্রোক করা হয়েছে। এছাড়া তিনটি ব্যাংক থেকে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ৮৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে সেই টাকার বড় একটি অংশ পাচার করেছে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং তদন্তে দেখা গেছে, রংধনু বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে জমি কিনে বা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গ্রহণ করে তা বিক্রি করে আসছিল। ২০২২ সালের ৮ মার্চ রফিকুল ইসলামের ছেলে কাউসার আহমেদ অপু ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান দিপু মিলে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কাছে ৭.৫৭৫১ একর জমি বিক্রি করেন। এরপর একই জমির ৬.৩৩৭৫ একর ২০২২ সালের ১ জুন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি লিমিটেডের কাছে পুনরায় বিক্রি করেন, যার মাধ্যমে তারা ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আয় করেন।

জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক ঋণ-

সিআইডির তদন্তে উঠে আসে, ভুয়া কার্যাদেশ ও মিথ্যা কাগজপত্র দেখিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৭০ কোটি টাকা এবং ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেন রফিকুল ও তার সহযোগীরা। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক বারিধারা শাখা থেকে জাল মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দিয়ে আরও ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেন তারা। এসব টাকার বড় একটি অংশ পাচার করা হয় বলে নিশ্চিত হয় সিআইডি।

বিদেশে বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব-

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম আরও জানান, ব্যাংক থেকে নেওয়া এসব ঋণের অর্থ পরিশোধ না করে পাচার করে রফিকুল ইসলাম ক্যারাবিয়ান অঞ্চলের দেশ অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডায় ২ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।

মামলা ও সম্পত্তি ক্রোক-

এই ঘটনায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আই অনুযায়ী রফিকুল ইসলাম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা রুজু করেছে সিআইডি। এছাড়াও আদালতের আদেশে রফিকুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্টদের ১৩টি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা এবং যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল-২ এ থাকা ১ লাখ বর্গফুটের কমার্শিয়াল স্পেস ক্রোক করেছে সিআইডি।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন জানান, রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ - রাজনীতি