নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজজামানের আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে রোববার রাত ৩টার দিকে উত্তরার তাপসের বাসার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় । এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মো. মহিববুল্লাহ তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে আসামি মামলার ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানা যায়। আসামিকে জামিনে মুক্তি দিলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি, মামলার তদন্তে ব্যাঘাতসহ আসামি দেশ ত্যাগ করার আশংকা রয়েছে। আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের নেতা-কর্মীদের উস্কানী প্রদান করেছে।
তিনি একজন সক্রিয় আওয়ামী লীগের কর্মী। তিনি এ মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। মামলার সঙ্গে জড়িত অপরাপর অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য এবং মামলায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করতে আসামিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, অজ্ঞাতনামা আসামি সনাক্ত ও গ্রেপ্তার এবং আলামত উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবি রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় আগামী ৬ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করে আদালত। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য ইশতিয়াক মাহমুদসহ অন্যরা ছাত্রজনতার সাথে একত্রিত হয়ে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪নং সেক্টরস্থ আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে ফাঁকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ক্যাডাররা দেশী ও বিদেশী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইশতিয়াকের উপর অতর্কিত হামলা, মারধরসহ গুলি বর্ষণ করতে থাকে। আসামীদের ছোড়া গুলির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনিসহ ছাত্রদের অভিভাবক ও ছাত্রজনতা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে আসামিদের ছোড়া গুলি তার পেট, পিঠ, হাতে ও মাথায় লাগলে তিনি গুরুতর আহত হয়। পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার এজাহারনামীয় ৯ নং আসামি হলেন তাপস।