আদালত প্রতিবেদক :
পল্টন থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর রিমান্ড আবেদন নাকচ করেছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার দন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
আজ কারাগার থেকে রিমান্ড শুনানির জন্য এ আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
রিমান্ড শুনানিতে বলা হয়, ‘এজাহারনামীয় ও তাদের সহযোগী আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা হাঙ্গামা করতে বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ, বলপ্রয়োগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুরুতর জখম করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতি করেন। উল্লিখিত আসামিরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তারা ঘটনার দিন নাশকতা ও অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকাশ্যে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিরা পল্টন মডেল থানার সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই দুই আসামি মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে গ্রেফতার দেখানোপূর্বক রহস্য উদঘাটন, পলাতক আসামিদের গ্রেফতার, ককটেল নিক্ষেপকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে জিজ্ঞাসাবাদ এবং অভিযান পরিচালনার জন্য ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।’
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরদিন গত ২৯ অক্টোবর এ ঘটনায় রমনা ও পল্টন থানায় মামলা হয়। এ মামলায় ২৯ অক্টোবরই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।