বৃহস্পতিবার , ১৪ মার্চ ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জাতীয়
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

মুশতাক-তিশার বিষয়ে যে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত

প্রতিবেদক
Newsdesk
মার্চ ১৪, ২০২৪ ৩:২১ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক :

সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ দম্পতিকে এমন ভিডিও প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৮-এর বিচারক শওকত আলীর আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন ধর্ষণ মামলা থেকে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য ছিল। এজন্য আদালতে হাজির হন এই আলোচিত দম্পতি।

মামলার শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী নারাজি বিষয়ে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘আসামি মুশতাক আহমেদ বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। কাপল হিসেবেও তারা সমাজে খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছেন। সমাজে দেখানোর চেষ্টা করছেন তারা সফল কাপল, যা সমাজে খারাপ প্রভাব ফেলছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খারাপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে। অনেকেই তাকে সুগার ড্যাডি বলে আখ্যায়িত করেন। অলরেডি বিভিন্ন মিডিয়াতেও বিষয়টি খারাপ নজির সৃষ্টি হয়েছে।’

আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওমর ফারুক ফারুকী। সমাজে যাতে এই ধরনের উদাহরণ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই আইনজীবী।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার হাসান শাহরিয়ার এর বিরোধিতা করে বলেন, ‘বাদীকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তারা আদালতে হাজির হয়েছেন। আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদন করছি। আসামিরা বিভিন্ন মিডিয়াতে ভিডিও দেওয়ায় বন্ধ করেছেন।’

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, ‘মৌখিকভাবে বলা হচ্ছে— এরপর যদি বাদীকে কোনো হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়, আপনার (মুশতাক) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যেন না দেখানো হয়, আপনারা সফল কাপল। সমাজের কেউ যেন এর দ্বারা প্রভাবিত না হয়, সে ধরনের কোনো ভিডিও যেন দেখা না যায়।’

তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘স্যার আপনার নির্দেশ অনুযায়ী কোনো প্রকার ভিডিওবার্তা আসামিরা দেননি। এমনকি টিকটকও করেন না তারা।’ তখন বিচারক বলেন, ‘টিকটক করলে কোনো সমস্যা নেই। সমাজে খারাপ প্রভাব পড়ে, এমন ভিডিও না করলেই হবে।’

বিচারক আসামিদের স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ - জাতীয়