বুধবার , ২৭ আগস্ট ২০২৫ | ১২ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

খিলক্ষেতে ২ মসজিদ ও ১ মন্দিরের জন্য জায়গা দিল রেলওয়ে

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২৭, ২০২৫ ৭:৫৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় দুটি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘নিয়মের বাইরে’ গিয়ে এমন নজির স্থাপন করল রেলওয়ে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) রেলভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মসজিদ ও মন্দিরের পরিচালনা কমিটির কাছে বরাদ্দপত্র তুলে দেন ঢাকার বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিন আরিফ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন— রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, রেলপথ সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন প্রমুখ।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছে, খিলক্ষেত রেলওয়ে জামে মসজিদ, আন-নূর জামে মসজিদ ও খিলক্ষেত সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির কর্তৃপক্ষ স্থায়ী উপাসনালয়ের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েতে আবেদন করে। সেটি পাঠানো হয় রেলপথ মন্ত্রণালয়ে। পরে মন্ত্রণালয় সেটির সারসংক্ষেপ তৈরি করে পাঠায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে। সেখান থেকে বিষয়টি অনুমোদিত হয়।

জানা গেছে, রেলের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। দুটি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য মোট ৩১.১৫ শতাংশ জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি প্লটের প্রতীকী মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ১০০১ টাকা। তিন প্লটের জন্য মোট ৩ হাজার ৩ টাকায় এই জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে রেলওয়ে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, খিলক্ষেত রেলওয়ে জামে মসজিদের জন্য ২০.১১ শতাংশ, আন-নূর-জামে মসজিদের জন্য ৫.৫২ শতাংশ এবং খিলক্ষেত সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরের জন্য ৫.৬২ শতাংশ জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত প্রতীকী মূল্যের বিনিময়ে এসব জমি বরাদ্দ করা হয়।

অনুষ্ঠানে রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্মেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার কথা বলা হয়েছে। কেউ এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করলে তাকে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রেলওয়ের জমি মসজিদ ও মন্দিরকে বরাদ্দ দেওয়াকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির হিসেবে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের রোল মডেল। তারপরও বিভিন্ন সময়ে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা উপাসনালয়গুলোকে যারা অপবিত্র করতে চায় তাদের ধর্মীয় কোনো পরিচয় নেই, তারা দুষ্কৃতিকারী, ক্রিমিনাল।

তিনি বলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের বেহাত হয়ে যাওয়া দেবোত্তর সম্পত্তি যেগুলো নিয়ে আদালতে কোনো মামলা-মোকদ্দমা নেই এরূপ সম্পত্তি উদ্ধারে সহযোগিতা করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, রেলের আইনে কোথাও লেখা নেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া যাবে। তারপরও কিছুটা ব্যত্যয় ঘটিয়ে হিন্দু ভাইবোনদের জন্য পার্মানেন্টলি ভূমি দেওয়া হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ - রাজনীতি