বুধবার , ৩০ জুলাই ২০২৫ | ১৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

চেয়ারম্যান আজিজুলেই ডুবছে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ৩০, ২০২৫ ৫:৩৫ অপরাহ্ণ

অপরাধচিত্র প্রতিবেদক :

হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল ও কলেজ বর্তমানে দুর্নীতি-অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় ডুবতে বসেছে। এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠাকালে যে আদর্শ নিয়ে চলা শুরু করেছিল তার সবকিছুই জলাঞ্জলি দিয়ে হাসপাতালটি ডোবানের দায়-দায়িত্ব নিয়েছেন মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম (অব.)। তার প্রচ্ছন্ন মদতে হাসপাতালে বিরাজ করছে অরাজক পরিবেশ। গত বছরের জুলাই-আগস্টে দুনিয়া কাঁপানো আন্দোলনে সরকারের পতন হলেও হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আওয়ামী লীগের দোসররা বহাল তবিয়তে টিকে আছেন আজিজুলের আশ্রয়ে।

মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যোগ দেয়ার পর থেকে হাসপাতালের উন্নয়নে কোনো রকম কার্যকর কর্মপরিকল্পনা তিনি গ্রহণ করেননি। চেয়ারম্যানের নির্লিপ্ততার কারণে পরিকল্পনা ও উদ্যোগের অভাবে হাসপাতালের সেবার মান ও আয় পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে কমে গেছে। চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) মোঃ সোহাগ মিয়া, বিগত সরকারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩২ জন কর্মীর চাকরির মেয়াদ টাকার বিনিময় বর্ধিত করেছেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে তিনি ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে যা হাসপাতালের সর্বত্র আলোচিত। সকল অপকর্মে জড়িয়ে আছেন আওয়ামীপন্থী মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম তিনি হিসাব বিভাগে কর্মরত। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেছেন বলে যানা যায়। তার থেকে টাকা নিয়ে শুধু চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধিই করে নাই সেই সাথে ফ্যাসিষ্ট সরকারের ক্যাডার হিসেবে হাসপাতালে পূণর্বাসনও করেছেন। বহুল আলোচিত কলেজের অধ্যক্ষকে মোটা অংকের টাকা ঘুষের বিনিময়ে স্থায়ী করা হয়েছে, যদিও তার নিয়োগ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ওই অধ্যক্ষের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের পিএ মোঃ সোহাগ মিয়া মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে অন্তত ১০ জনকে চাকরি দিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যানের পিএ মোঃ সোহাগ মিয়া হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল ও কলেজে গরীব মেধাবী অসচ্ছল কোটায় ৫ জন শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে ভর্তি করিয়েছেন। একজন অকর্মণ্য অযোগ্য রাজনৈতিক নেতাকে গাসপাতালে উপ-পরিচালক এবং আউটডোর ইনচার্জ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি । তার অযোগ্যতা ও অসদাচরণের ফলে আউটডোর আয় তলানিতে নেমে এসেছে। একইভাবে, হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ অডিট বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে মোঃ শহিদুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যিনি শুধু এইচএসসি পাশ এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত। চেয়ারম্যান আজিজুল দীর্ঘদিন হাসপাতালে অনিয়মিত থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রশাসন বলে কিছুই কার্যকরভাবে অবশিষ্ট নেই। এটি উদ্বেগজনক ও গম্ভীর অবস্থা। সঠিক প্রশাসনিক কাঠামো, স্বচ্ছতা, এবং পেশাদারিত্বের অভাবে, হাসপাতালের সেবার মান এবং কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

স্বাস্থ্যসেবা প্রত্যাশীদের অভিমত, এমন পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে কেবল হাসপাতালের ভবিষ্যতই বিপন্ন হবে না, বরং হাজার হাজার রোগী এবং শিক্ষার্থীও এর শিকার হবে। সেই সাথে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। বিষয়টি এখন শুধু স্টাফ বা কর্মকর্তাদের মধ্যেই নয়, সাধারণ রোগীদের মধ্যেও উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।

সর্বশেষ - রাজনীতি