নিজস্ব প্রতিবেদক :
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্য থেকে নতুন করে আরও ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা।
বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ কিয়াও সোয়ে মো পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করতে এলে এই উদ্বেগ উত্থাপন করা হয়।
সাক্ষাতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার আশু প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি চলমান মানবিক সংকট মোকাবেলায় প্রচেষ্টা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা উভয় দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
মিয়ানমার সরকার এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররা পরিস্থিতি সমাধানে গঠনমূলক আলোচনায় নিয়োজিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বাস্তুচ্যুত মানুষের আগমনের সঙ্গে যুক্ত মানব পাচার বৃদ্ধিসহ সীমান্তে নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত মো মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আরাকান সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিরতি ভাঙার কারণে প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা বিলম্বিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের সেনাদের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রবেশের পর তাদের প্রত্যাবাসন সহজতর করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি তার সরকারের কৃতজ্ঞতা জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়ে অসামান্য দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে উভয় দেশের অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন, যেখানে মিয়ানমার একটি মূল প্রবেশদ্বার হিসাবে কাজ করে।
তিনি আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার মর্যাদা লাভের জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতি মিয়ানমারের সমর্থনের আহ্বান জানান। এছাড়াও, উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ঢাকা ও ইয়াঙ্গুনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনা করে। তারা বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে আলোচনাধীন উপকূলীয় শিপিং চুক্তি চূড়ান্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।