নিজস্ব প্রতিবেদক :
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় দেশের ১১টি জেলায় ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৯টি পরিবার পানিবন্দি। এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫২ লাখ ৯ হাজার ৭৯৮। এখন পর্যন্ত বন্যায় ১৮ জনের মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। নিখোঁজ দুজন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ–সংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনে রোববার (২৫ আগস্ট) এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। দুপুর ৩টায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রামে পাঁচজন, কুমিল্লায় চার, নোয়াখালীতে তিন, কক্সবাজারে তিন, ফেনীতে এক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ও লক্ষ্মীপুরে একজন। এ ছাড়া নিখোঁজ দুজন মৌলভীবাজারের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলাগুলোতে ৩ হাজার ৬৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন ৪ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি সরকারি–বেসরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। বন্যায় আক্রান্ত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসককে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চিকিৎসা দল এবং অন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে একসঙ্গে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফেনীতে ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের চিকিৎসকেরা সেবা দিচ্ছেন। পাশাপাশি স্থানীয় ক্লিনিক, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় সেবা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগের জন্য ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি ভি-স্যাট (ভেরি স্মল অ্যাপারচার টার্মিনাল) চালু করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।