নিজস্ব প্রতিবেদক :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলবে। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কাজ চলছে। তিনি বলেন, বর্তমানে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো হয়ে থাইল্যান্ড যেতে সময় লাগে ২০ থেকে ২২ দিন, আর সরাসরি জাহাজ চললে লাগবে মাত্র ৩ থেকে ৪ দিন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সাথে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর সাক্ষাত শেষে তিনি এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের ‘র্যানং পোর্ট’ ও চট্টগ্রাম পোর্টের সাথে সরাসরি জাহাজ চলাচল কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু হবে। দু’বছর আগে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। দ্রুত দু’দেশের যৌথ গ্রুপের মিটিং হবে।
থাইল্যান্ড বাংলাদেশের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে-উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যাতে আরও জোরদার হয় সে লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও) ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হওয়ায় থাইল্যান্ড বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাড়াতেও কাজ করছে দু’দেশ।
মায়ানমারের সংঘাত বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো সংঘাত ঝুঁকি পরিস্থিতি তৈরি করে। এটা মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ সংঘাতের কোন প্রতিফলন ঘটলে আমরা চুপ থাকব না। চোখ বুঝে থাকব না। তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর কিছু সদস্য এসেছে। আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি।
‘‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা, দেশের মানুষের জীবন, জীবিকায় কোন সমস্যা হলে আমরা বসে থাকব না। মোকাবিলার জন্য প্রস্তুুত আছি। মায়ানমারের সংঘাতে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোন প্রভাব পড়ার সংবাদ নেই। কার্যক্রম বিঘিœত হওয়ার কোন খবর নেই’’ বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।