নিজস্ব প্রতিবেদক :
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ৬ জুন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে দুদকে তলব করা হয়েছে। এর আগে বেনজীর ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ কার্যকর করা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছিল দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এরমধ্যে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা জমি যাতে হস্তান্তর না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার সাব-রেজিস্ট্রার বরাবর আদালতের জব্দের আদেশ পাঠানো হয়েছে।
ব্যাংক হিসাবের অর্থ যাতে হস্তান্তর বা রূপান্তর না হয়, সে জন্য আদালতের আদেশ পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককেও। দুদকের পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, আদালতের আদেশের পর অভিযুক্ত ব্যক্তির স্থাবর সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবের টাকা হস্তান্তরের কোনো সুযোগ নেই।
আদালতের আদেশ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার যদি সম্পদ হস্তান্তরে করেন, তিনি আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হবেন। তিনি বলেন, ব্যাংক হিসাব কিংবা কোম্পানির শেয়ারও হস্তান্তর করা যাবে না।
এর আগে বেনজীর আহমেদের জব্দ ও অবরুদ্ধ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আদালতের আদেশের কপি ও চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ অনুসন্ধান টিম আদেশের কপি পাঠায়।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি র ্যাবের মহাপরিচালক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং র্যাবে সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল। তখন তিনি আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন।