নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীতে বিকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি যেন থামছেই না। অঝোর ধারায় ঝরেই চলেছে৷ একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি; অন্যদিকে যানজট আর জলাবদ্ধতায় নাকাল নগরবাসী।
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকাল চারটা নাগাদ ঢাকার আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে। এরপর সাড়ে চারটা নাগাদ শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। বিকাল ৫টা নাগাদ বাড়তে শুরু হয় এই বৃষ্টি। রাত আটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীর বেশিরভাগ অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু বড় সড়কের একপাশেও পানি জমে গেছে। বৃষ্টির কারণে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। সব মিলিয়ে অফিস ফেরত সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
বিকাল ৫টার দিকে মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হন আয়েশা সুলতানা। নেমেই দেখেন তুমুল বৃষ্টি। যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না। যাবেন রামপুরা। রিকশা-সিএনজি’র চালকরা চাইছেন দ্বিগুণ ভাড়া। অগত্যা দ্বিগুণ ভাড়ায় রিকশা নেন তিনি। কাকরাইল এসে পড়েন যানজটে। সন্ধ্যা সাতটায়ও বাসায় পৌঁছাতে পারেননি বলে তিনি জানান।
একই অবস্থার শিকার ঢাকার প্রায় সব অফিস ফেরত সাধারণ মানুষের।
জরুরি কাজে বের হবেন রাজাবাজারের বাসিন্দা জামাল হোসেন। অঝোর বৃষ্টি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। পরে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বের হন তিনি। তবে বাঁধ সাধে রাস্তার ওপর জমে থাকা পানি। তার ভাষ্য, ঢাকার সড়কে হাটু পানি পার হওয়া যেন নদী পার হওয়ার মতোই বিড়ম্বনা।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ ছত্তিশগড় ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সকাল নয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।


















