নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ ছেলে-মেয়েরা যাতে পথ না হারায়, তারা যাতে সর্বনাশী নেশায় সম্পৃক্ত না হয়, সেজন্য মাদকের আগ্রাসন রুখতে কাজ চলছে।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক এখন সামাজিক ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে। মাদকের ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে এর চাহিদা ও ক্ষতি হ্রাসের জন্য বিশ্বের সঙ্গে তিন অধ্যায় নিয়ে কাজ চলছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা বাংলাদেশ কোনো মাদকের উৎপাদন করি না। কিন্তু ভৌগোলিক কারণে গোল্ডেন ট্রাইঅ্যাঙ্গেলের বা গোল্ডেন ক্রিসেন্ট বলে মাদকের বলয়ের ভেতরে বা পাশে বলেই আমরা এর প্রভাবটি খুব বেশি ফেস করে আসছি। প্রফেসর অরূপ রতন চৌধুরী বললেন দেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি লোক নাকি মাদকাসক্ত। আমার কাছে সঠিক তথ্যটি নেই। তিনি যখন বলেছেন, তিনি রিসার্চ করেছেন তবে হতে পারে ১ কোটি। আমরা মনে করেছিলাম ৮০ লাখ। হয়তো সংখ্যা বাড়তেও পারে। তবে যাই হোক এটি একটি ভয়ঙ্কর সংখ্যা।
তিনি বলেন, এখন থেকেই যদি আমরা মাদকের বিরুদ্ধে কাজ না করি তবে আমাদের আগামীর স্বপ্ন সব ভঙ্গ হয়ে যাবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন, তেমন তিনি মাদককেও চিহ্নিত করেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে, মাদক কারবারি, অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সেই নির্দেশনা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার চাহিদা হ্রাস করার জন্য ও মাদকবিরোধী বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। মাদক নির্মূল করতে মাদক আইনও সংশোধন করা হয়েছে। এই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলখানার দিকে তাকালে দেখা যাবে সেখানকার একটি বড় অংশ মাদক ব্যবসায়ী মাদকসেবী ও মাদকের সংশ্লিষ্টরা রয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। এর চাহিদা কমাতে ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। এজন্য বাচ্চাদের মধ্যে ছবি অংকন প্রতিযোগিতা করা হয়েছে। যাতে শিশুদের মধ্যে প্রথমের মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে ওঠে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।