নিজস্ব প্রতিবেদক :
মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজারে কাজ পাইয়ে দেয়া এবং পাঠানোর নামে প্রতারণার শিকার হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গত শুক্রবার তাদের দেশটিতে যাওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু এজেন্সি ও দালালের প্রতারণায় অনেকের যাওয়া হয়নি। সেই ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট এজেন্সি ও দালালের বিরুদ্ধে মামলা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
রবিবার (২ জুন) রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
সিআইডি প্রধান বলেন, গত পরশু দিন মালয়েশিয়া শ্রমিক যাওয়ার বিষয়ে এয়ারপোর্টে আমরা যেটা দেখেছি, সেটার বিষয়ে যদি কোনো সংক্ষুব্ধ কেউ মামলা করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা শুধু পাচার মামলা নয়, এর পাশাপাশি যেটা আছে অবৈধভাবে শ্রমিক পাঠানো বা অবৈধভাবে অর্থ আয় করে হস্তান্তর রূপান্তর করেছে সেগুলো আমরা মানিলন্ডারিং মামলার আওতায় নিয়ে আসব।’
সিআইডি প্রধান বলেন, ‘আপনারা জানেন, এখানে একটা মানব পাচার সেল আছে। এই সেলটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। আমাদের একটি ব্রাঞ্চও আছে এয়ারপোর্টে। যারা রিফ্রেক্টেড হয়, বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে বিদেশ থেকে রিফ্রেক্টেড হয়, আমাদের রিপোর্ট করার সাথে সাথে আমরা তাদের সমস্ত ডাটা সংগ্রহ করি। মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কিন্তু আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’
মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা আসামি গ্রেফতার করি, পাশাপাশি এই অবৈধভাবে যারা মানব পাচার করে ভুয়া টিকিট বা ভুয়া ভিসা ইত্যাদি দিয়ে যারা মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে, অর্থ নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা একদিকে মানব পাচারের অন্যদিকে মানিলন্ডারিং মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’


















