নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতির কারণে ১৯ উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ১৮টি উপজেলা উপকূলীয় এবং ১টি পার্বত্য চট্টগ্রামের।
সোমবার (২৭ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এই তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, মূলত আগামী ২৯ মে বুধবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১০৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করতে মাঠ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যেই গতকাল (২৬ মে) সন্ধ্যায় থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হেনেছে। যার ফলে কোথাও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং ৯ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষিত হয়। এই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী যেসব নির্বাচনী এলাকাগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রবেশ করেছে, বেড়িবাঁধ ভেঙেছে, কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে গেছে এবং কোথাও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে থেকে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে যে ১৯ উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো হলো- বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা; খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন; ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা ও রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি।
ইসি সচিব বলেন, মোট ১৯ উপজেলার ভোট আপাতত স্থগিত হয়েছে। এই ১৯টি উপজেলার ভোট স্থগিতের ফলে আগামী ২৯ মে ৯০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।