সোমবার , ২৬ মে ২০২৫ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অপরাধচিত্র বিশেষ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খুলনা
  7. খেলাধুলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জাতীয়
  10. জেলার খবর
  11. ঢাকা
  12. তথ্য-প্রযুক্তি
  13. প্রবাসের কথা
  14. বরিশাল
  15. বিনোদন

শিল্পে আগের চেয়ে ২১ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ বেশি হয়েছে: মন্ত্রণালয়

প্রতিবেদক
Newsdesk
মে ২৬, ২০২৫ ৩:৩৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

শিল্পে গ্যাস সংকট চরমে দাবি করে ব্যবসায়ীদের দুর্ভিক্ষের শঙ্কা প্রকাশ করার একদিন পরই এ বিষয়ে ভিন্ন তথ্য দিলো মন্ত্রণলায়। গত বছরের তুলনায় শিল্প খাতে ২১ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ বেশি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ তেল, গ‍্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) ব‍্যাখ‍্যা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে পাঠিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।

এতে বলা হয়েছে, গত বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দিনে গড়ে গ‍্যাস সরবরাহ হয়েছে ৮২ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট। এবার গড়ে সরবরাহ করা হয়েছে ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট। তবে ধীরে ধীরে সরবরাহ আরো বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ‍্যে গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরবরাহ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। গত বছরের এপ্রিল মাসে দিনে গড়ে সরবরাহ করা হয়েছে ৭২ কোটি ৬০ লাখ ঘনফুট। এবারের এপ্রিল মাসে সরবরাহ করা হয়েছে ১০৮ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট।

এতে বলা হয়, শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে শিল্প–সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য পেট্রোবাংলার নজরে এসেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য, শিল্পে গ‍্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির জন‍্য গত বছরের তুলনায় এবার ছয়টি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ‍্যাসের (এলএনজি) কার্গো বেশি আমদানির ব‍্যবস্থা করা হয়েছে; এর আমদানি মূল‍্য প্রতি ঘনমিটার ৬৫ টাকা। শিল্প খাতে প্রতি ঘনমিটারের দাম রাখা হয় ৩০ টাকা আর শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ‍্যুতের ক্ষেত্রে দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রতি ঘনমিটারে সরকারকে ৩৫ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২৮ মে থেকে দিনে আরো ১৫ কোটি ঘনফুট গ‍্যাস সরবরাহ বাড়ানো হবে।

গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে ঈদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করা কঠিন হবে। কয়েক মাসের মধ্যে বন্ধ হতে পারে অর্ধেক টেক্সটাইল কারখানা।

টেক্সটাইল কারখানাগুলোর মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ’র সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “আমাদের উপদেষ্টা সাহেবরা মনে হয় উটপাখির মতো হয়ে গেছে। চারদিকে কী হচ্ছে মনে হয় তারা দেখতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত আমাদের লে অফ হচ্ছে। কিছুদিন পরে মানুষ রাস্তায় নামবে। আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা হবে যদি আপনি শিল্পকে বাঁচাতে না পারেন।”

সর্বশেষ - জেলার খবর