নিজস্ব প্রতিবেদক :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, কোনো পক্ষ বা গ্রুপের লোক হব না। আমি সেন্টারে থাকব, প্লাসে-মাইনাসে যাব না। সবাইকে নিয়ে কাজ করব।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে দায়িত্বগ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, আমার অবস্থান সবসময় সেন্টারে থাকবে, প্লাসে-মাইনাসে যাব না। আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু কোনো অন্যায় আমি করব না। কোনো অন্যায় আবদার শুনব না। এখানে শ্রম দেওয়া প্রত্যেকটা মানুষকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের বন্ধু-ভাই হয়ে কাজ করতে চাই। প্রশাসনের ক্ষমতা কাটাতে চাই না।
তিনি আরো বলেন, আপনারা আমাকে দলনেতা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। আমি সবসময় আপনাদের পাশে চাই। আপনারা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, তাতেই আমি খুশি। অন্য কোনোভাবে আমাকে খুশি করা যাবে না। যে যে দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারবেন তাকেই দায়িত্ব দিতে চাই। আমি চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান পরিবর্তন করতে চাই।
কারো উদ্বেগের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম দিন। আমাকে নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা অনুভব করবেন না। আমাকে কোনো গ্রুপে যুক্ত করার চেষ্টা করবেন না। যারা ভালো কাজ করবে তারাই আমার লোক।
এ সময় সাবেক সব ভিসির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ বলেন, সাবেকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান ভিসি শারফুদ্দিন সাহেব আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। আমিও তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তিনি আমার বন্ধু মানুষ। আমরা দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করছি। একই ক্লিনিকে প্রাকটিস করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন আমার খুবই কাছের বড় ভাই। শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল করার সময় আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ঐ জায়গা খালি করেছি। তার সঙ্গে কাজ করে হাসপাতাল দাঁড় করিয়েছি। তিনি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীও আমার কাছের বোন। আমরা তিনজন মিলে দেশকে একটা অসাধারণ স্বাস্থ্যখাত উপহার দিতে চাই। আমি অন্যায় করবো না, কিন্তু আমার ভুলকে পুঁজি করে আমাকে অনুৎসাহিত করবেন না। চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সমস্যা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশের মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক তৈরি করে। এই প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে তা নিশ্চিত করব। গবেষণা ছাড়া মেডিকেল শিক্ষা চলতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গবেষণাই উৎসাহী। আমরা তার এই স্বদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে চাই। গবেষণার জন্য যা যা প্রয়োজন আমি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এনে দিতে পারব বলে বিশ্বাস করি।