নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে ফেরা প্রবাসী ও যাত্রীদের কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে সংগ্রহ করে ক্রয়-বিক্রয়, কালোবাজারি ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করছে এক চক্র। এর সঙ্গে বিমানবন্দর শাখার সাতটি ব্যাংক ও দুটি প্রতিষ্ঠান জড়িত বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেসগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
জড়িত থাকা ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, যমুনা ব্যাংকসহ পাঁচটি এবং এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জার ও ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জার।
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সোমবার এয়ারপোর্টে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানে ওই চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রবাসী শ্রমিকরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মূল্যবান যে রেমিট্যান্স নগদ ও বৈদেশিক মুদ্রায় আনেন- তা ব্যাংকিং চ্যানেলে রাষ্ট্রীয় রিজার্ভে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু অসাধু ব্যাংকাররা ব্যাংকের টাকা ব্যবহার করে তা ব্যাংকিং চ্যানেলে সংগৃহীত না দেখিয়ে নিজেরাই কিনে বাইরে বিক্রি করেন। যা পরবর্তী সময়ে মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আবার বিদেশে পাচার হয়ে যায়।’
এভাবে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হয়ে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে বলেও জানান দুদক সচিব। গোয়েন্দা সূত্রে তথ্য পেয়ে এবং সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ‘ওই অভিযান পরিচালনা শেষে বিদেশি মুদ্রার কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারদের এক চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে সাতটি ব্যাংক ও দুটি প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। ফলে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে।’
সন্দেহভাজন ও জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তারা কমিশনের নজরদারিতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।