সাভার, (ঢাকা) প্রতিনিধি :
বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৪ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা প্রত্যাখান করে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন আশুলিয়ার বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শিল্পাঞ্চলের অন্তত ১৯টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া উৎপাদন বন্ধ করে প্রায় ১৬টি কারখানা থেকে বেরিয়ে যায় শ্রমিকরা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ১২টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে বেলা গড়ার সাথে সাথে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা কারখানার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯টিতে।
শিল্পপুলিশ জানায়, শ্রমিকরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা ঝামেলা করছে না। তবে বর্ধিত বেতনে শ্রমিকরা সন্তুষ্ট না। তাদের দাবি ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের। তাই শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখেছেন। অনেক শ্রমিক আবার কারখানা থেকে বের হয়ে গেছেন। আজ সকালে ১২টি পোশাক কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে আরও সাতটি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হন। এছাড়া আরও ১৫/১৬টি কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে এসব কারখানার কর্তৃপক্ষ তাদের বুঝিয়ে কাজে ফিরতে বললে তারা কারখানা থেকে চলে যায়। মোট ৩৫টি কারখানায় আজ উৎপাদন বন্ধ ছিল।
শ্রমিকরা জানায়, তারা ৭দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। শ্রমিকদের জন্য ৪ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে সব শ্রমিকদের দাবি ছিল ১৫ শতাংশ। এছাড়া আরও ছয়টি দাবি রয়েছে।
গার্মেন্টস মালিক সংগঠন সূত্রে জানা যায়, সকালে বেশ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা সাত দফা দাবিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সকালে ১২টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও দুপুর পর্যন্ত ১৯টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নানা দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে নাসা ও ট্রাউজার লাইন পোশাক কারখানা শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এথিকালসহ আরও বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে যায়। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শ্রমিকদের কর্মবিরতির মুখে আশুলিয়ার অন্তত ১০টি কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভুইয়া বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কর্মবিরতি পালন করায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯টি পোশাক কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আরও ১৫/১৬টি কারখানায় শ্রমিকরা কাজ না করে বের হয়ে যায়। এ পর্যন্ত তথ্য আমার কাছে রয়েছে। তবে মূলত বর্ধিত ইনক্রিমেন্টে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকরা। তাই কাজ বন্ধ করে অনেকেই বেরিয়ে গেছে। তবে কোনো ধরনের অরাজকতা কিংবা বিশৃঙ্খলা তারা করছেন না।