গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলে প্রাণ হারিয়েছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে চতুর্থজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত পঞ্চম ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের শিলাবৃষ্টি ফিলিং স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতা সবাই ইটভাটার শ্রমিক।
নিহতরা হলেন উপজেলার ভাওমান সূত্রাপুরের টালাবহ গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে ৬৫ বছর বয়সী আব্বাস আলী, নিহত আব্বাস আলীর ছেলে ৪০ বছর বয়সী জাহিদুল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত ইয়াকুব মুন্সির ছেলে ৫৫ বছর বয়সী মোয়াজ্জেম হোসেন এবং সূত্রাপুরের ভাওমান গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে ৪৮ বছর বয়সী শওকত হোসেন।
আহত রঞ্জন হোসেন সূত্রাপুরের টালাবহ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অটোরিকশার চালক। আহত রঞ্জন হোসেন ও আব্বাস আলীকে উদ্ধার করে প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকায় আসার পথে আব্বাস আলীর মৃত্যু হয়।
নাওজোড় হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন ও সূত্রাপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সানেয়ার হোসেন এসব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীরা জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিহত ইটভাটার শ্রমিকরা কাজে যাওয়ারা জন্য নিজ নিজ ঘর থেকে বের হন। ৫টার দিকে বোডঘর এলাকায় একত্রিত হয়ে অটোরিকশাযোগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস লাইন দিয়ে উল্টোপথে যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় চন্দ্রা থেকে আসা (ঢাকা মেট্রো–উ-১৪-১৫৪৫) সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক মূল মহাসড়ক ব্যবহার না করে সার্ভিস সড়ক দিয়ে মির্জাপুর যাচ্ছিল। পথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ওসি শাহদাত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক ও অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের চালক পালিয়েছেন। তাকে ধরতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিহত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী লিলি বেগম আহাজারি করে বলেন, ‘আমার দেড় বছরের শিশু সন্তানকে এতিম বানাইয়া আল্লাহ তোমারে নিয়া গেলো। অহন আমার সন্তান বাবা ডাকবো কারে।’
নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান,খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হলেও চালক পলাতক রয়েছেন। নিহতদের লাশ স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।