বান্দরবান প্রতিনিধি :
মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। গেল মঙ্গলবার তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে আরও একটি মর্টার শেল এসে পড়েছে। ফলে বেশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সীমান্তে।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু পার্শ্ববর্তী ওপারের বিজেপি ক্যাম্প ঢেঁকিবুনিয়া এলাকা ছাড়াও ছোড়া গুলি ও মর্টারশেল ছড়িয়ে পড়েছে এপারেও। ফলে ভয়ে ও আতঙ্কে প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের ঘুমধুম ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম গ্রামের শতশত মানুষ।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চত করেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি জানান, উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সোমবার রাত থেকে এ পর্যন্ত সেখানে সাতটি পাড়ার ৪০টি পরিবারের শতাধিক লোক আশ্রয় নিয়েছেন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থী ও সীমান্তে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী পরিবার গুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ ও সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে গোলাগুলি, মর্টারশেল ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে পুরো সীমান্ত এলাকা। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হোয়াইক্যং এবং হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি ও মর্টারশেলের বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। বিশেষ করে তুমব্রু সীমান্তে দুজনের মৃত্যুর পর থেকে এ আতঙ্ক ছড়িয়েছে দ্বিগুণ।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা। সবশেষ গত মঙ্গলবার ঘুমধুম তুমব্রুর পাশাপাশি নতুন করে উখিয়া, টেকনাফ এবং তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বিজিপি সদস্যসহ দেশটির অন্যান্য বাহিনীর ২৬৪ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।