জাফর আলম, কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাতে স্ত্রী উম্মে হাফসা তুহিকে খুন করেছে স্বামী শওকত হাসান মেহেদী। এ সময় তুহিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসায় শাশুড়িকেও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) জুমার নামাজ চলাকালে দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মজিদিয়া মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত উম্মে হাফসা তুহি (১৮) ওই এলাকার আবদুল হামিদের মেয়ে এবং আহত পারভীন আক্তার (৩৮) তার স্ত্রী। ঘাতক শওকত হাসান মেহেদী (২৪) উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আজম উল্লাহপাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে। সে পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। আবদুল হামিদ বলেন, ৮ মাস আগে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মেহেদী। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর জেরে আমার মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করত। গত ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখ মেয়ে তুহি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাকে খবর দিলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি।
গত বৃহস্পতিবার স্বামী মেহেদী আমার বাড়িতে আসে। গতকাল সকালে তুহিকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে আমার স্ত্রীসহ আমি বাধা দিই। আত্মীয়স্বজন নিয়ে এলে যেতে দেব বলার পর মেহেদী চলে যায়। পরে জুমার নামাজ চলাকালীন দুপুর দেড়টার দিকে মেহেদী অতর্কিত এসে তুহি ও তার মাকে উপর্যুপরী ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে জুমার নামাজ শেষে এসে তাদের আহত অবস্থায় দেখে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তুহিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গুরুতর আহত আমার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন চিকিৎসক।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত পারভীন আক্তারকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।