জাহিদ হাসান,নেত্রকোণা প্রতিনিধি :
নেত্রকোণা সদরের নওয়ানগর গ্রামে দূবৃত্তের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ৭৮ বছরের এক বৃদ্ধ কৃষক। চাঁদা দাবি ও হুমকি-ধমকির কারণে পরিবার-পরিজন সমেত চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে তার। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। ভূক্তভোগী কৃষকের নাম হাজী ফজলুল হক। তিনি ওই গ্রামের মরহুম হাছেন আলীর ছেলে।
নেত্রকোণা সদর থানা পুলিশ বরাবর লিখিত হাজী ফজলুল হকের অভিযোগে জানা যায়, ৪২ বছর আগে তার নিজ গ্রামের কাছম আলীর (কাসেম আলী) ছেলে আব্দুল বারেকের কাছ থেকে যথাক্রমে গত ৯.০৯.১৯৮০ সনে ১২৫৪ নং সাব কবলা দলিল মূলে নওয়ানগর মৌজার ৬১ দাগের ০৫ শতাংশ জমি, ২৫.০২.৮৭ সালে ২১১৩ নং সাব কবলা দলিল মূলে ০৫ শতাংশ, ২৯.১০.১৯৯১ সনে ৬০৯৫ নং সাব কবলা দলিল মূলে নওয়ানগর মৌজার ৫ শতাংশ মোট ২৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।
পরবর্তিতে এই জমির নামজারি করিয়ে খাজনাদি পরিশোধ ও বাড়িঘর নির্মাণ পূর্বক শাস্তিপূর্ণভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোগ-দখল ও বসবাস করে আসছেন। দূর্বৃত্ত চক্রটি কিছুদিন আগে তার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। দাবি পূরণ না করায় তারা অতিসম্প্রতি অতর্কিত ভাবে ০৭.১.১৯৮২ তারিখের ৩৩৩ নং রেজিষ্ট্রী সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয়কৃত নওয়ানগর মৌজার বিআরএস দাগ ৮৩ দাগের জমিতে আব্দূল হেলিম (৩৫), আব্দুল লতিফ (৪২) জাহাঙ্গীর আলম (২৬) সহ অন্যরা জবর দখল ও একটি গৃহ নির্মাণ করছে। পরে তারা হুমকি দেয় যে, ঘর ভাঙ্গলে খবর আছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের জমির কাগজ-পত্রাদিসহ থানায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বললেও তারা পাত্তা দিচ্ছে না। সৃষ্ট জটিলতার কারণে চলতি আমন ধান কাটা ও মাড়াই নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন হাজী ফজলুল হক।
অভিযুক্তদের মধ্যে আব্দুল লতিফ বলেন, নালিশী বাড়ির অংশের জমি আমাদের পৈত্রিক। ্উভয় পক্ষের উপস্থাপিত দালিলিক প্রমানের ভিত্তিতে এলাকার হিতৈষী ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক সালিশ-দরবারে সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতে একটি ঘর নির্মানের কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী কাছে চাঁদা দাবীসহ সকল অভিযোগ মিথ্যা। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে দাখিলী অভিযোগকারী কর্তৃক হয়রানীমূলক পুলিশি অভিযোগ।
নেত্রকোণা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ নেওয়াজ ও তদন্ত কর্মকতা এস আই মাহফুজ বলেন ঘটনার বিষয়ে সরেজমি পরিদর্শন কালে নওয়া নগর গ্রামের বিবাদীপক্ষের মরহুম আকবর আলীর পুত্র আব্দুল লতিফকে ঘর নির্মানের কাজ আপাতত বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত ক্রমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান এই দুই কর্মকর্তা।