পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
সাগরকন্যা কুয়াকাটার নাম মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। সুবিশাল সমুদ্র আর একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত উপভোগ করা। দীর্ঘ সৈকতে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। পাখির কলকাকলি। সৈকতে বিছানো সারি সারি ঝিনুক। এসব দৃশ্য উপভোগ করতে কুয়াকাটায় ইতিমধ্যে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই পর্যটকবাহী গাড়িতে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটার পর্যটক পার্কিংগুলো। রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা। তবে শুক্রবার সকাল থেকে দীর্ঘ ৩২ কিলোমিটার সৈকতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। হালকা হিমেল বাতাসে আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন এ বছরের সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে আজকে।
সকাল বেলার শীতের রেস কাটতে না কাটতেই সৈকতের পানিতে গোসল ও উল্লাসে মেতেছে হাজারো পর্যটক। রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমনে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা। এদিকে আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মামুন-রিয়া জানান, খুব অল্প সময়ে মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এখানকার পরিবেশ বেশ ভালোই লাগছে। কুয়াকাটায় একসঙ্গে অনেক পর্যটক দেখে বেশ ভালোই লাগছে। তবে কুয়াকাটার রেস্টুরেন্টে খাবারের মান আরও ভালো করা দরকার।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর এত বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরাও অনেকটা উচ্ছ্বসিত। এভাবে প্রতিনিয়ত সৈকতে পর্যটক থাকলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারব। ইতিমধ্যে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল রিসোর্টগুলোতে শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল হক ডাবলু বলেন, পর্যটকের চাপ একটু বেশি রয়েছে। তাই পর্যটকের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া মাঠে টহল টিম কাজ করছে। কুয়াকাটার প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে আমাদের টিম রয়েছে। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি আমরা।